জাতীয় ডেস্ক:
ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) পুলিশের কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, আমাদের নারী পুলিশ সদস্যরা অনেক মানসিক সীমাবদ্ধতা নিয়ে কাজ করে। তাদেরকে মফস্বলে পোস্টিং দিলে তারা যেতে চায় না, ঢাকায় থাকতে চায়। অনেক ক্ষেত্রে নাইট ডিউটি দিলে নারীরা অনিহা প্রকাশ করে। এই মানসিক প্রতিবন্ধকতা দূর করে এগিয়ে যেতে হবে।
আজ দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস আ্যসোসিয়েশন আয়োজিত 'ডিজিটাল প্রযুক্তি উদ্ভাবন জেণ্ডার বৈষম্য করবে নিরসন প্রতিপাদ্যে' আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে সম্মাননা স্মারক প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন,বাংলাদেশ পুলিশে নারী পুলিশ এখন ১০ শতাংশ কর্মরত। আড়াই হাজারের মতো নারী পুলিশ সদস্য কর্মরত রয়েছে ডিএমপিতে। বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস আ্যসোসিয়েশনের সভাপতি স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার আ্যন্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের পরিচালক প্রফেসর ড. তানিয়া হক।
খন্দকার ফারুক বলেন, ভিক্টিম সাপোর্ট সেন্টার ও উইমেন সাপোর্ট সেন্টারে শুধুমাত্র নারী কর্মকর্তারা কাজ করছেন। নির্যাতিত নারীদেরকে মানসিক ও আইনগত সেবাসহ বিভিন্নভাবে সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে নারী পুলিশ সদস্যরা। বাংলাদেশ পুলিশের নারীরা দেশ, মেধা ও যোগ্যতার সক্ষমতা রাখছে। নারীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রেখে এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমানে নারীরা যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে অদূর ভবিষ্যতে দেশে নির্দিষ্ট করে আলাদাভাবে নারী দিবস পালনের দরকার হবে না। প্রযুক্তিগত লেখাপড়াতেও আমাদের দেশের মেয়েরা অনেক এগিয়ে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি ফাতেমা বেগম, এসবির উপ মহাপরিদর্শক আমেনা বেগম, সাবেক ডিআইজি মিলি বিশ্বাস ও বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস আ্যসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান প্রমুখ।