
ইয়ারব হোসেন: মঙ্গলবার (৩ মার্চ) সাতনদী নিউজ পোর্টালে সদর উপজেলার মাধপকাঠি সরকারি বাজারের জমি দখল করে দোকান নির্মান নিয়ে একটি সরেজমিন ভিডিও প্রতিবেদন প্রকাশের পর তৎপর হয়ে উঠেছে প্রশাসন। সরকারি খাস জমি দখল করে দোকান ঘর নির্মাণের বিষয়ে বুধবার দইু দফা তদন্ত করা হয়েছে। তদন্তে সরকারি খাস জমি দখল করে দাকান ঘর নির্মানের সত্যতা মিলেছে। দ্রুত দোকান ঘর অপসারন করে সরকারি খাস জমি বুঝে নেওয়ার জন্য কাজ শুরু করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত: সদর উপজেলার মাধপকাঠি বাজারের সরকারি বাজারের জমি দখল করে ৩০-৩৫টি দোকান নির্মান করা হয়েছে। নির্মান করা হয়েছে পাঁকা ঘর। বর্তমান সরকারের স্থানীয় নেতাদের সহযোগিতায় সরকারি খাস জমি দখল করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে দখল করে রাখা হলেও ভুমি অফিসের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। সরকারি খাস জমি দখল করে দোকান ঘর নির্মানের বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার দৈনিক সাতনদী পত্রিকার নিউজ পোর্টালে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এই প্রতিবেদনের পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাশিষ চৌধুরীর নির্দেশে বুধবার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা মাধপকাঠি গিয়ে সরজেমিনে পরির্দশনের নির্দেশ দেন।
ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা আব্দুল বারি জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে বুধবার সকালে সরেজমিনে পরির্দশন করেন। তিনি সরকারি খাস জমি দখল করে দেকান ঘর নির্মানের বিষয়টি নিশ্চিত হন। তিনি জানান,ইতিমধ্যে দোকান ঘর ভেঙ্গে ফেলার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারি আমিন দিয়ে মেপে সরকারি জমি বের করা হবে। অবৈধ দখলদার উচেছদ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাশিষ চৌধুরী জানান,সাতনদী পত্রিকার প্রতিবেদনটি তিনি দেখেছেন। সাথে সাথে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ভুমি কর্মকর্তাকে নির্দেশও দিয়েছেন বলে জানান তিনি।।