আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ: ২০১৩ সালে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাবুলিয়া গ্রামের কার্তিক দেবনাথ এর পুত্র অসীত দেবনাথ গগনের সাথে বিবাহ হয় কালীগঞ্জ উপজেলার সাইহাটি গ্রামের গোপাল দেবনাথ এর কন্যা পার্বতী দেবনাথের । এরইমধ্যে কেটে গেছে নয়টি বছর। পার্বতীর সংসারে এসেছে আরও ১ জন অতিথি অরণ্য দেবনাথ। যার বয়স এখন সাত বছর । জন্ম থেকেই শারীরিক ও বাকপ্রতিবন্ধী সে।
বিয়ের শুরু থেকেই পার্বতীর জীবনে নেমে আসে অমানিশার অন্ধকার । কারনে অকারনে গগনের পাশবিক হাত চড়াও হয় পার্বতীর উপর। ইচ্ছামত করা হয় মারপিট। একমাত্র প্রতিবন্ধী সন্তান ও দরিদ্র পিতা মাতার মুখের দিকে তাকিয়ে স্বামী গগনের পৈশাচিক নির্যাতন নীরবে সহ্য করেন পার্বতী। সম্প্রতি পার্বতীর উপর নেমে আসে দ্বিগুণ খড়গ। বেধড়ক পিটিয়ে সারা শরীর জখম করা হয় তার। এখানেই নির্মমতার শেষ নয়। পার্বতীর পশ্চাৎদেশে কাঁচি ঢুকিয়ে দিয়েই ক্ষান্ত হয় গগন। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে সাতনদীর সাথে আলাপকালে পাষন্ড স্বামী গগনের অত্যাচারের বর্ণনা দেন পার্বতী দেবনাথ। তিনি বলেন, “আমার মা-বাবা দরিদ্র মানুষ। তারা কোনো প্রতিবাদ করতে পারবে না ভেবে আমার স্বামী আমাকে দিনের পর দিন পান থেকে চুন খসলেই মারপিট করে। মা বাবার সংসারে অভাব থাকায় আমি বাবার বাড়িতে আসতে পারি না। একরকম বাধ্য হয়েই তার অত্যাচার সহ্য করি। আমি এই অত্যাচারের হাত থেকে রেহাই চাই। ”
পার্বতীর পিতা গোপাল দেবনাথ জানান, “আমার মেয়েকে এমন এমন জায়গায় মেরে রক্তাক্ত করেছে তা আপনাদের বলতে পারব না। আমরা হিন্দু মানুষ। আমাদের সমাজ এখনও দ্বিতীয় বিয়ে মেনে নিতে পারেনি। তাই আমরা পার্বতীকে ও নরপিশাচের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নিতে পারছি না। ছাড়িয়ে নিলে ওকে আর কে বিয়ে করবে? আমি প্রতিবাদ করলে আমাকেও জুতা দিয়ে মারতে আসে গগন। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। আমার মেয়ে যেন তার সন্তানকে নিয়ে নির্বিঘ্নে বসবাস করতে পারে তার জন্য আপনাদের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক সহ সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।