
আতিয়ার রহমান, মণিরামপুর (যশোর): যশোরের মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত কয়েক মাস ধরে চিকিৎসক নেই ডেন্টাল ইউনিটে। এই পদে যিনি আসেন, থাকেন না বেশি দিন। চিকিৎসক না থাকায় একজন সহকারী দিয়ে চলে এই ইউনিট। নিয়মিত রোগী দেখেন তিনি। জটিল কোনো সমস্যায় বাইরের ক্লিনিকের শরণাপন্ন হতে হয় রোগীদের। মণিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডেন্টাল ইউনিটে রোগী দেখার উপযোগী সব সরঞ্জামাদি রয়েছে। কিন্তু সার্জন না থাকায় যন্ত্রপাতিগুলো অকেজো পড়ে আছে।
সরেজমিন হাসপাতালে গিয়ে দুটি ডেন্টাল ইউনিট সাদা চাদরে মোড়ানো পড়ে থাকতে দেখা গেছে। কক্ষে ঢোকার একপাশে বসে রোগী দেখছেন সহকারী আব্দুর রউফ। তিনি দিনে ১৫-২০ জন রোগী দেখেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি বছরের মার্চের প্রথমে এই ইউনিটে সার্জন হিসেবে যোগ দেন ডা. কবিতা। দুই সপ্তাহ থেকে তিনি বদলি নিয়ে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চলে যান। তার আগে ৫-৬ মাস থেকে প্রমোশন বদলি নিয়ে খুলনা চলে যান ডা. শের আলি। তিনি যাওয়ার পর কয়েক মাস পদটি খালি ছিল।
ডেন্টাল ইউনিটের সহকারী আব্দুর রউফ বলেন, এখানে সার্জন হিসেবে ছিলেন ডা. দীপঙ্কর মন্ডল। আর কেশবপুরে ছিলেন ডা. শের আলী। দীপঙ্কর মন্ডলের বাড়ি কেশবপুরে হওয়ায় মিউচুয়ালি বদলি নিয়ে তিনি কেশবপুর চলে যান। পরে এখানে আসেন শের আলি। মণিরামপুরে আসার পরপরই তিনি পদন্নোতি পান। এখানে ৪-৫ মাস থেকে তিনি খুলনা চরে যান।
আব্দুর রউফ বলেন, যন্ত্রপাতি যা আছে চলারমত। চিকিৎসক না থাকায় ধুলোবালি থেকে রক্ষা করতে ওগুলো ঢেকে রেখেছি। আমি নিয়মিত ১৫-২০ জন রোগী দেখি। সুন্দলপুর গ্রামের শাহরিয়ার রহমান অনু বলেন, দাঁতের গোড়ায় পুঁজ জমে। ডাক্তার দেখাতে এসেছি। পাইনি। একজন সহকারী দেখে ব্যবস্থাপত্র দিয়েছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. শুভ্রা রানী দেবনাথ বলেন, অনেক দিন ডেন্টাল সার্জন নেই। চিকিৎসক চেয়ে দুই দফা আবেদন করেছি। এখনো পাইনি।