এসএম আতিয়ার রহমান, মনিরামপুর (যশোর) থেকে: যশোরের মনিরামপুরে মনিরামপুর উপজেলাতে আলু আর পেয়াজের দামে অস্বস্তি সবজি রান্না করতে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর মধ্যে আলু আর পেঁয়াজ বেশি প্রয়োজনীয় এই দুই পণ্যের দাম কমার কোনো লক্ষণই চোখে পড়ছে না। বরং দফায় দফায় আলু পেয়াজের দাম বেড়েই চলেছে।এরমধ্যে সবজি, ডিম, মুরগির দাম কিছুটা কমলেও আলু পেয়াজ কিনতে গেলে ক্রেতারা হিমশিম খাচ্ছে। বাজারে এখন প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে, যা গত মাসে ৬০-৬৫ টাকা ছিল।ভারতের পেয়াজের ১১০-১২০ টাকার দেশি পেঁয়াজের দাম উঠেছে ১৩০-১৪০ টাকায়। তবে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ কেনা যাচ্ছে ১১০ টাকার মধ্যে। শনিবার (৩০ নভেম্বর) মনিরামপুর বিভিন্ন বাজারে ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা আলু, পেঁয়াজের এই অস্বাভাবিক দামকে খুব অস্বস্তিদায়ক বলে মনে করছেন। সবুর হোসেন নামে একজন সবজি ক্রেতা বলেন, আলুর দাম ৮০-১০০ টাকা, এটা কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না। একই অবস্থা পেঁয়াজের ক্ষেত্রেও। কিন্তু দুটি পণ্য এতটাই প্রয়োজনীয় যে বাজারে এলে কিনতেই হয়। বিকল্প কিছু নেই। মাসে পরিবারের যদি পাঁচ কেজি আলু আর পাঁচ কেজি পেঁয়াজ লাগে- এ জন্যই ব্যয় করতে হবে এক হাজার টাকার বেশি।এটা কোন স্বাভাবিক ব্যাপার হতে পারে না। এই দুই পণ্যের দামের বিষয়ে মনিরামপুর কাঁচামাল বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন,আলু আর পেঁয়াজের মৌসুম এখন শেষের দিকে। প্রতি বছর এ সময়ে দাম বাড়ে। তবে এ বছর শুরু থেকে দাম চড়া। এরপর এখন বেড়ে আরও বাজার অস্থিতিশীল হয়েছে। সবজির মধ্যে ঢেড়স, পটল ৪০-৫০ টাকায় নেমে এসেছে। এছাড়া বেগুন,বরবটি, করলা ও কাঁকরোল ৬০-৭০ টাকায় ও পেঁপে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কিছুদিন আগেও এসব সবজির দাম ১০০ টাকার ওপরে ছিল। অপরদিকে, ফুলকপি ৮০ টাকা থেকে কমে ৫০-৬০ টাকা এবং লাউ ৮০ টাকা থেকে ৫০-৬০ টাকায় নেমেছে। কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে। সবজি বিক্রেতা রাসেল বলেন, শীতের সবজির সরবরাহ বাড়ছে। আগামীতে সবজির দাম আরও কমে আসবে। মনিরামপুর কাঁচা তরকারি বাজারের সভাপতি মুনছুর আলী বলেন বাজারে যদি ম্যাজিস্ট্রেটেরা খোঁজখবর না রাখে তাহলে এইভাবে বাজার সিন্ডিকেট হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে আমি মনে করি।