
মনিরামপুর সংবাদদাতা:
মনিরামপুর উপজেলা ইমারত নির্মাণ শ্রমিক নামে একটি শ্রমিক সংগঠন চালু হয় ২০১৪ সালে মনিরামপুর বিভিন্ন ইউনিয়নে গড়ে উঠে সংস্থার শাখা। প্রায় আনুমানিক ৫ হাজার মত সদস্য হয় এই শ্রমিক ইউনিয়নে। সকল সদস্য নির্মাণ শ্রমিক, ইলেকট্রনিক মিস্ত্রি টাইলস মিস্ত্রি স্যানেটারি মিস্ত্রি রড মিস্ত্রি কেউ বা হোটেলে কাজ করে। সকল সদস্যর বই করে দেওয়ার জন্য ৩০০ থেকে ৬০০ পর্যন্ত টাকা আদায় করতেন এবং মাসিক চাঁদা দিতে হত ৩০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত তৎকালীন সভাপতি মোঃ ইমন হায়দার তার বাসা মনিরামপুর পৌর এলাকা ৮ নং ওয়ার্ড কামাল পুর গ্রামে পিতা সিরাজুল ইসলাম।
এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তার আপন চাচা মোঃ শহিদুল ইসলাম (শহিদ) চাচা ভাইপো মিলে সাধারণ গরিব অসহায় দিন মুজুরের টাকায় বিলাশ বহুল ভাবে চলাফেরা করতেন।এবং এই টাকায় নিজ এলাকায় নির্বাচন করার জন্য নিজের ওয়ার্ডের আনুমানিক ৫ শতাধিক শ্রমিক পরিবার কে করোনা কালিন সহযোগিতা করেন নির্বাচনের সার্থে।
গত নির্বাচনে তিনি উঠ পাখি মার্কা নিয়ে নির্বাচন করেন নিজ ওয়ার্ডে। সেখানে বিপুল ভোটে পরাজিত হয় মোঃ ইমন হায়দার। তিনি ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের টাকায় গড়ে তোলে নিজের এলাকায় মিনি স্টুডিয়াম নামে একটি সংগঠন সেটাও নির্বাচনের সার্থে। এছাড়াও তার আরো একটি ভুয়া প্রতিষ্ঠান মোহনপুর বটতলায় গড়ে তোলে নাভানা ট্রেডিং কোঃ নামের এজটি হোল্ডিং নকশা ইঞ্জিনিয়ারিং প্লান নামে বিল্ডিং প্লান করতেন তিনি। তার নামের আগেও ব্যাবহার করতেন ইন্জিনিয়ার ইমন হায়দার। শত শত শ্রমিক নিয়ে গড়ে তোলেন এক বিরাট রাজনৈতিক সম্পর্ক।
আওয়ামী লীগ রাজনীতির ছত্রছায়ায় চালাতো এসব অপকর্ম। শ্রমিক লীগ নেতা দাবি করে উপজেলা আওয়ামী লীগ কে বোকা বানিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা। এসব টাকা গরীব দিন মুজুর শ্রমিকদের। সাধারণ শ্রমিক ৫০০/১০০০ টাকার জন্য কেহ মুখ খোলে না। সাধারণ শ্রমিক দের গত করোনা কালিন ঈদে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ২৫০০ টাকা করে শ্রমিক দের ঈদ বোনাস দেন। সেখানেও ইমন হায়দার সকল শ্রমিকের কাছ থেকে /৩৫০/৪০০ টাকা করে চাঁদা নেন তিনি। কিন্ত কেহ আজ পর্যন্ত ২৫০০ টাকা পায়নি।
আমাদের প্রতিনিধি শ্রমিক দের কাছে জানতে চাইলে তারা সব কথা খুলে বলেন।কিছু কিছু শ্রমিক গালি গালাজ ও করেন।এমন কি সরকারী টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আছে তার নামে। সকল ভুক্তভোগী শ্রমীক ও পাওনাদারগণ তার দৃষ্টান্ত ম‚লক শাস্তির দাবি জানান।