মনপুরা (ভোলা) সংবাদদাতা:
মনপুরার চারপাশ শুষ্কমৌসুমে ও মেঘনার নদীর করাল স্রোতে অবিরাম ভাঙ্গার ফলে বসত বিঠা হারিয়ে দিশেহারা মানুষ।
শুষ্কমৌসুমে ও অবিরাম নদী ভাঙ্গনের ফলে মনপুরার উত্তর থেকে দক্ষিণ পৃর্ব থেকে পশ্চিম পাশসহ শতাধিক পরিবারের বেশি মানুষ রয়েছে ঝুঁকিতে, যে কোন সময় হারিয়ে যেতে পারি শেষসম্বল টুক ভিটেমাটি। দুশ্চিন্তায় নির্ঘুম রাত কাটে মনপুরা ইউনিয়নের শীতাকুন্ড এলাকার পশ্চিম ও পৃর্বপাশের নদীর পাড়ের মানুষের, আতংকিত হয়ে আছে আন্দীর পাড় এলাকার লোকজনে অবিরাম ভাঙ্গার ফলে ছিরে যেতে পারে আন্দীর পাড় মোর্জা, মনপুরা উপজেলা মুলভূখন্ড থেকে। মনপুরা ইউনিয়নের শীতাকুন্ড বাজারের পশ্চিম নদী থেকে দূরত্ব পৃর্বনদী মাত্র এক থেকে দুই কিলোমিটার।
আশার আলো জালিয়ে আবার নিবে যাচ্ছে প্রদীপ,মন্ত্রী সভায় একনেকে পাস হওয়া প্রায় হাজার কোটি টাকার কাজ এখনো শুরু হয়নি । কবে নাগাল কাজ শুরু হবে তা ও জানেন না কেউ।
শুকনো মৌসুম কিংবা বর্ষা, সাড়া বছর জুড়ে ভাঙ্গছে মেঘনা নদী। মেঘনার ভাঙ্গনে কেউ হারিয়েছেন বসতবাড়ি আবার কেউ ফসলি জমি। সব হারিয়ে অনেকে বসতি গড়ছে বা উদ্বাস্তু হয়ে থাকছে চর কিনবা বেড়ীর পাড়ে। এমন দুর্ভাগ্য মনপুরা উপজেলার মেঘনা নদী পাড়ের মানুষের। বিশেষ করে মনপুরা উপজেলার কাউয়ারটেক, নায়েবেরহাট, চৌধুরী বাজারের পৃর্ব ও পশ্চিম পাশ, মাষ্টারহাট এর পশ্চিম পাশ ও আলম বাজার সংলগ্ন পশ্চিম পাশ, দক্ষিণ সাকুচিয়া, সূর্যমুখি ও দক্ষিণা হাওয়া সীবিচ এলাকায় ও এই মৌসুমে দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙ্গন।
স্থানীয়দের অভিযোগ গেল কয়েক বছর ধরে নদী ভাঙ্গলেও পদক্ষেপ নেয়নি সরকার। ভোট আসলেই মিলে প্রতিশ্রুতি প্রথমেই হবে নদী ভাঙ্গার কাজ। ভোট ও শেষ কাজ ও শেষ। প্রতিশ্রুতি ই হলো আমাদের আশার আলো।
নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত ফখরুল বলেন, রাক্ষুসী মেঘনার ছোবলে আমি দুইবার ঘরবাড়ি হারিয়েছি। এখন আমি নিঃস্ব। আর যেন কারো বসতবাড়ি মেঘনার কবলে না যায় সেজন্য নদী ভাঙ্গন রোধে দ্রুত টেকসই কাজের জোরদাবী জানাচ্ছি।। ত্রাণ নয়, বেঁচে থাকার শেষ সম্বল টুকু রক্ষায় দ্রুত টেকসই কাজ চাই।
এই ব্যাপারে জানতে চাইলে পানি উন্নায়ন বোর্ডের ভোলা পওর বিভাগ -২ এর নিবার্হী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ জানান, এখন ও নতুন করে মনপুরা উপজেলা কোন নদী ভাঙ্গার কাজ টেন্ডার হয় নাই। রামনেওয়াজ এর তুলাতলির উত্তর মাথায় পুরাতন কাজের ৫০ কোটি টাকার টেন্ডার হয়েছে।