আতিয়ার রহমান, মণিরামপুর থেকে: মণিরামপুরে মাদ্রাসা ছাত্র মামুন হাসানের ‘খুনিদের বিচার দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন নিহতের মা, বাবা, বোনসহ এলাকাবাসী। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে সোহরাবমোড়-চাঁচড়া সড়কের পাশে এই মানববন্ধন করেন তারা। ঘণ্টাব্যাপী চলা মানববন্ধনে মামুনের মৃত্যুর ঘটনাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যাকান্ড দাবি করে এর সাথে যুক্ত আনিসুর মেম্বর, সিরাজ ও ফারুকের বিচার দাবি করা হয়।
মানববন্ধনে মামুনের মায়ের গলায় ঝোলানো প্লাকার্ডে লেখা ছিল, ‘খুনি সিরাজের ফাঁসি চায়’। বোন লিমার গলায় ঝোলানো প্লাকার্ডে লেখা ছিল, ‘খুনি ফারুকের ফাঁসি চায়’। ওই মানববন্ধনে নিহত মামুনের বাবা মশিয়ার গাজীও অংশ নেন। এছাড়া, বেলা ১১টা পর্যন্ত চলা মানববন্ধনে এলাকার কয়েকশ’ নারী-পুরুষ অংশ গ্রহণ করেন। নারীদের অনেকে কোলের সন্তান নিয়ে মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছিলেন।
মামুনের মা ছকিনা বেগম অভিযোগ করেন, ‘আমার ছেলেকে চোর বলা হলেও কোনো চোরাই মালামাল খুনিরা দেখাতে পারেনি। তারা শত্রুতা করে আমার ছাবালরে মাইরে ফ্যালায়েছে। আমি সবার বিচার চাই’। হত্যার বিচার চেয়ে মানববন্ধনে মা বাবা বোন
বাবা মশিয়ার গাজীর অভিযোগ, স্থানীয় মেম্বর আনিছুর উপস্থিত থেকে মামুনকে নির্যাতন করেছেন। শুধু তাই নয়, সকালে মামুনকে ইটভাটায় জ্বালিয়ে দেয়ার হুমকিও দিয়েছিলেন আনিছুর মেম্বর। এমনকী পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের রক্ত দিয়ে গোসল করারও হুমকি দিয়েছিলেন মেম্বর ও তার সহযোগী সিরাজ, সোহাগ, ফারুক, আলতাফ ও লাভলু। তিনি সকলের বিচার দাবি করেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি মণিরামপুর উপজেলার খোজালীপুর গ্রামের মাঝের পাড়ায় মামুন রহমান (২২) নামে ওই মাদ্রাসাছাত্রকে চোরের অপবাদে রাতভর আটকে নির্যাতন চালানো হয়। পরের দিন বুধবার সকালে পুলিশের সহযোগিতায় মানুমনকে উদ্ধার করেন তার মা ছকিনা বেগম। তিনি ছেলেকে গুরুতর আহত অবস্থায় মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করার পর দুপুর ২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। নিহত মামুন মণিরামপুর আলিয়া মাদ্রাসার আলিম দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।