
আতিয়ার রহমান, মণিরামপুর (যশোর): যশোরের মণিরামপুরে কৃষকের জমি দখল করে সরকারি রাস্তা পাকাকরণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ করা হচ্ছে, রাস্তার জন্য বরাদ্দকৃত জমি ফেলে রেখে উপজেলার শেখপাড়া গ্রামের কৃষক মীর নওশের আলীর জমি দখল করে রাস্তা পাকাকরণের কাজ শুরু করছেন ঠিকাদার। এই বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে ইউএনও ও উপজেলা প্রকৌশলী বরাবর অভিযোগ করে ফল পাননি ভুক্তভোগী কৃষক। ফলে বিচারের দাবিতে দারেদারে ঘুরছেন তিনি।
জানা যায়, খুলনা উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে উপজের রোহিতা মাধ্যমিক বিদ্যালয় গেট হতে রোহিতা বাজার পর্যন্ত দুই কি.মি. ২২০ মিটার কাঁচা রাস্তা এককোটি ৯৪ লাখ টাকায় পাকাকরণের কাজ হাতে নিয়েছে উপজেলা প্রকৌশলী অফিস। চলতি বছরের মার্চে কাজের অনুমতি পান ইমন এন্টারপ্রাইজ। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে কাজ করছেন স্থানীয় ঠিকাদার সিদ্দিক হোসেন। রাস্তাটির মাটিকাটা কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।
কৃষক নওশের আলীর অভিযোগ, রাস্তা সংলগ্ন ৪৪৩ দাগে তার ৮৭ শতকের একটি মাছের ঘের রয়েছে। সরকারি জমি থাকতে সেটা রেখে তার তিন শতক জমি দখল করে রাস্তার কাজ চালছে। অথচ সরকারি জমি দখল করে রেখেছেন ইউনুস আলী নামে এক ব্যক্তি।
নওশের আলী বলেন, রাস্তার মাটিকাটার সময় স্থানীয়ভাবে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। কোন বাধা না মেনে ঠিকাদার সিদ্দিক আমার জমির ওপর দিয়ে রাস্তা করে যাচ্ছেন। কেউ বাধা দিতে আসলে তিনি দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। আমি বিষয়টি নিয়ে ইউএনও অফিসসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। কোন কাজ হয়নি। একদিন উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার রাস্তা দেখতে আসেন। তিনি আমার অভিযোগের স্থানে না যেয়ে ঠিকাদারের পরামর্শে চলে আসেন।
এই বিষয়ে ঠিকাদার সিদ্দিক বলেন, কোন হুমকি দেওয়া হয়নি। যতদূর সম্ভব ওই কৃষকের জমি বাঁচিয়ে রাস্তা করার চেষ্টা করব।
ইউএনও সৈয়দ জাকির হাসান বলেন, রাস্তার বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে ব্যবস্থা নিতে ইঞ্জিনিয়ার অফিসকে বলা হয়েছে।
মণিরামপুর উপজেলা প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, রাস্তাটি বহুপুরোনো। কাঁচা রাস্তা যেভাবে ছিল সেই হিসেবে রাস্তার টেন্ডার হয়েছে। প্রাক্কলন হিসেবে রাস্তার কাজ হবে। তবে স্থানীয় মেম্বর চেয়ারম্যান যদি রাস্তাটি সরিয়ে বাঁধাই করে দেন তাহলে সেই অনুযায়ী রাস্তা করা সম্ভব।