
আতিয়ার রহমান, মণিরামপুর(যশোর) থেকে:
পদ পরিবর্তন ও বেতন গ্রেড উন্নীতকরণের দাবিতে সারা দেশের সাথে একযোগে যশোরের মণিরামপুরে ইউএনও এবং এসিল্যান্ড অফিসের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের পূর্ণদিবস কর্মবিরতি চলছে। গতকাল রোববার থেকে তাদের কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত টানা ১৫ দিন চলবে এই আন্দোলন।
এদিকে, গুরুত্বপূর্ণ দুই দপ্তরে কর্মচারীদের কর্মবিরতি চলায় বিপাকে পড়েছেন উপজেলার দূরদূরান্ত থেকে সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ। সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে সরেজমিন উপজেলা চত্বরে গিয়ে দেখা যায়, ইউএনও অফিসের নিচে দুই অফিসের কর্মচারীরা চেয়ার পেতে বসে কর্মবিরতি পালন করছেন। তাদের পাশেই দাঁড়িয়ে রয়েছেন দুই সেবাগ্রহীতা।
এ সময় ইসমাইল হোসেন নামে এক ব্যক্তি জানান, তিনি মাহমুদকাটি গ্রাম থেকে জমির নামপত্তনের আবেদন করতে এসেছেন। তার স্ত্রী ক্যান্সারে আক্রান্ত। জমি বিক্রি করে তাকে চিকিৎসা করাতে ভারতে নেবেন। কিন্তু কর্মচারীদের আন্দোলন চলায় কোন সেবা পাননি তিনি।
চাকলা গ্রাম থেকে আসা পারভিনা বেগম জানান, পথের সমস্যা নিয়ে তিনি ইউএনওর কাছে এসেছেন। ইউএনও তাকে আবেদন করার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু কর্মচারীরা তাকে আবেদন করতে দিচ্ছেন না। আন্দোলনকারীদের মধ্যে ফয়সাল হোসেন বলেন, ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করব। এরপর পাঁচ ডিসেম্বর ঢাকা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে পরবর্তী আন্দোলনে যাব আমরা। এরমধ্যে আমরা অফিসের কোন কাজ করব না। সেবা নিতে এসে কেউ ভোগান্তি পেলে আমাদের কিছু করার নেই। আমরা পেশার সাথে বেইমানী করতে পারব না।
ইউএনও অফিসের সিএ সন্তোষ কুমার বলেন, ৩২ বছর ধরে একই পদে চাকরি করছি। কোন পদোন্নতি পাইনি। আতিয়ার রহমান নামে একজন বলেন, ৩৯ বছরের চাকরি জীবনে দুইবছর আগে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছি কিন্তু বেতন গ্রেডে কোন পরিবর্তন আসেনি। আন্দোলন ও জনগণের ভোগান্তির ব্যাপারে জানতে ইউএনও সৈয়দ জাকির হাসানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা চলে। ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।