
আহাদুর রহমান (জনি): ভোমরা হবে ব্যবসায়ী বান্ধব বন্দর। কোলকাতা থেকে সবচেয়ে কম দূরত্বের এ বন্দরটি দীর্ঘদিন অবহেলিত শুধুমাত্র যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে। আমরা এ বিষয়টি নিয়েও কাজ করবো। খুলনা বিভাগীয় শ্রম অধিদপ্তরের নির্দেশনা মোতাবেক ৪৫ দিনের মধ্যেই বিধি অনুযায়ী সাধারন সভার মাধ্যমে একটি পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে। দৈনিক সাতনদীর সাথে ব্যক্তিগত আলাপচারিতা ভোমরা স্থলবন্দরে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন ভোমরা সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের এডহক কমিটির সদস্য এএসএম মাকছুদ খান।
মি. মাকছুদ সাতনদীকে জানান, আর কিছুদিন পরই পদ্মা সেতু উদ্বোধন হবে। দেশের সকল স্থান থেকে কোলকাতার দূরত্ব ভোমরা স্থল বন্দর দিয়ে কম। কিন্তু বেশ কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য এ বন্দর বিমুখ ব্যবসায়ীরা। তাই আমরা ইতোমধ্যেই ভোমরা বন্দরে ট্রাকপ্রতি আমদানি চার্জ ৪০০ টাকার স্থলে ২০০ টাকা এবং রফতানি চার্জ ২০০ টাকা থেকে ১০০ টাকায় নামিয়ে এনেছি। এছাড়াও এটি আন্তর্জাতিক নিয়মে চালানোর জন্য প্রধামন্ত্রীর কাছেও আবেদন করা হবে। ভোমরায় আরও একটি টার্মিনাল নির্মানের বিষয়েও আমরা কাজ করবো।
এক প্রশ্নের জবাবে মি. মাকছুদ সাতনদীকে জানান, এখানের অদৃশ্য একটি বড় সমস্য হচ্ছে এতবড় একটি বন্দর অথচ ব্যবসায়ী, শ্রমিক-কর্মচারীদের জন্য একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র নেই। জরুরী প্রয়োজনে শহরের হাসপতালে যেতে হয়। আমরা এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করবো। এ ছাড়াও ভোমরা বন্দরের যে কোন সেবা ব্যবসায়ীদের সহজলভ্য করার জন্য আমরা একটি হটলাইন চালু করবো। যার ফলে সিএন্ডএফ এসোসিয়েশন ব্যবসায়ীদের ডিজিটার সেবা প্রদান করতে পারবে।
মি. খান সাতনদীকে আরও বলেন, ব্যবসায়ীরা যাতে কোনরকম হয়রানির শিকার না হন এবং তারা যাতে আমদানি রফতানি কাজে এই বন্দরবিমুখ না হন সে দিকেও আমরা নজর দিয়েছি। ভোমরা বন্দরের বিপরীতে ভারতের ঘোজাডাঙায় বাংলাদেশে আমদানিমুখী ভারতীয় ট্রাক থেকে যে মোটা অংকের টাকা আদায় করা হচ্ছে সেটাও সহনশীল স্থানে নিয়ে আসার ব্যাপারে আমরা কাজ করছি।