নিজস্ব প্রতিবেদক: আবারো কালো মেঘের ছায়া পড়েছে ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্টস্ এসোসিয়েশন নির্বাচন কেন্দ্র করে। মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা অমান্য করে ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সদ্য সাবেক আহবায়ক এজাজ আহমেদ স্বপনকে বাদ দিয়ে ত্রি বার্ষিক নির্বাচনে ভোটার তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। প্রতিহিংসাম‚লক এ কর্মকাÐের কারণে বিস্মিত হয়েছেন সিএন্ডএফ এজেন্টস্ এসোসিয়েশনের সদস্যরা।
এপ্রিল মাসের ১৩ তারিখ মেসার্স মেরিন অ্যাসোসিয়েটসের অংশীদার এজাজ আহমেদ স্বপনকে এপ্রিলের ২৫ তারিখে অনুষ্ঠিতব্য বিশেষ নির্বাচনে সাধারণ সভায় উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়। নোটিশ পেয়ে এজাজ আহমেদ স্বপন ঐদিন সিএনএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের উপস্থিত ছিলেন। সবার উপস্থিতিতে নির্বাচন কমিশন গঠন ও নির্বাচন পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সে মোতাবেক গত ২৯ এপ্রিল ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হয়। তফসিল অনুযায়ী ৫ মে বৃহস্পতিবার ১৫৬জন সদস্যকে অর্ন্তভ‚ক্ত করে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হয়। ভোটার তালিকা থেকে মেসার্স মেরিন অ্যাসোসিয়েটসের অংশীদার এজাজ আহমেদ স্বপন কে বাদ দেওয়া হয়। এ নিয়ে কোনো নোটিশ তাকে প্রদান করা হয়নি এবং তিনি ভোমরা সিএনএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ফি, চাঁদা পরিশোধ করেছেন।
এ বিষয়ে এজাজ আহমেদ স্বপন সাতনদীকে জানান, ‘ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্টস্ এসোসিয়েশনের নির্বাচন বানচাল করতেই এ হীন কাজ করা হয়েছে। এর আগেও আমার সিএন্ডএফ সদস্যপদ বাতিলের চেষ্ট করে চক্রটি। আবারও তাদের হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তবে এ নিয়ে আমি অভিযোগ করবো।’
মি. স্বপন আরো বলেন ‘এটা আমাকে প্রার্থী হওয়া থেকে বিরত রাখার চেষ্টার অংশ এবং নির্বাচন বন্ধের জন্য প্রকাশ্য ষড়যন্ত্র ।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোকন মাষ্টার সাতনদীকে জানান, এজাজ আহমেদ স্বপনসহ ৩৪জন ভোটারের নাম তালিকায় রাখেনি আহবায়ক কমিটি। আজ আপিল শুনানীর দিন ধার্য আছে। আমার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ আপিল শুনানী অন্তে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। এখানে আহবায়ক কমিটির প্রতিনিধি ও শ্রম অধিদপ্তরের প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন। হাইকোর্টের নির্দেশনা অমান্য করে খসড়া ভোটার তালিকায় এজাজ আহমেদ স্বপনের নাম না রাখার বিষয়ে খোকন মাষ্টার সাতনদীকে জানান, খসড়া ভোটার তালিকা নির্বাচন কমিশনের কাছে সরবরাহ করেছে আহবায়ক কমিটি। সেকারণে আদালত অবমাননার ঘটনা ঘটে থাকলে তার দায় আহবায়ক কমিটি বহন করবে নির্বাচন কমিশন নয়।