আহাদুর রহমান (জনি): ভোমরা বন্দরের গুরুত্ব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী ভোমরা বন্দরে ২৪ ঘন্টা যাবত আমদানি রফতানি কার্যক্রম চলবে এমন প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া সব ধরনের পন্য যাতে আমদানি রফতানি হতে পারে সে ব্যাপারেও প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। সাতক্ষীরায় অর্থনৈতিক জোন স্থাপিত হবে এবং একইসাথে ভোমরা স্থলবন্দর পূর্নাঙ্গ বন্দরের রুপ লাভ করবে এমন আশাবাদও ব্যক্ত করেছেন ভোমরা স্থলবন্দর সিএ্যান্ডএফ এসোসিয়েশন এর আহবায়ক ও জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক এজাজ আহমেদ স্বপন।
মি: স্বপন বলেন, আমরা এসব বিষয় নিয়ে সরকারের সকল পর্যায়ে যোগাযোগ রক্ষা করে কাজ করে যাচ্ছি। এতে অগ্রগতিও রয়েছে। ব্যবসায়ীরা যাতে কোনরকম হয়রানির শিকার না হন এবং তারা যাতে আমদানি রফতানি কাজে এই বন্দরবিমুখ না হন সেজন্যও আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এরই মধ্যে ভোমরা বন্দরে ট্রাকপ্রতি আমদানি চার্জ ৪০০ টাকার স্থলে ২০০ টাকা এবং রফতানি চার্জ ২০০ টাকা থেকে ১০০ টাকায় নামিয়ে আনা হয়েছে। এতে ব্যবসায়ীরা আগ্রহী হবেন। এছাড়াও ভোমরা বন্দরের বিপরীতে ভারতের ঘোজাডাঙায় বাংলাদেশে আমদানিমুখী ভারতীয় ট্রাক থেকে যে মোটা অংকের টাকা আদায় করা হচ্ছে সেটাও সহনশীল স্থানে নিয়ে আসার ব্যাপারে আমরা কাজ করছি।
এজাজ আহমেদ স্বপন বলেন, গত ৪ সেপ্টেম্বর ভোমরা বন্দরে অনুষ্ঠিত সাধারন সভায় যে প্রক্রিয়ায় কাজী নওশাদ দিলওয়ার রাজু ও মোস্তাফিজুর রহমান নাসিমকে সভাপতি ও সম্পাদক করে যে কমিটি ঘোষনা করা হয় তা আইনসম্মত ভিত্তি লাভ করেনি। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রীট করার প্রেক্ষিতে খুলনা বিভাগীয় শ্রম অধিদপ্তরের একটি নির্দেশনা আসে। এই নির্দেশনায় বলা হয়, উক্ত কমিটি গঠনতান্ত্রিক বিধি মোতাবেক করা হয়নি। এর ওপর ভিত্তি করে খুলনা বিভাগীয় শ্রম অধিদপ্তর প্রস্তাবিত ৫ সদস্যের একটি আহবায়ক কমিটির অনুমোদন দেয়। আহবায়ক কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, মোঃ আশরাফুজ্জামান আশু, রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী, মোঃ মাকসুদ খান ও মোঃ মিজানুর রহমান। ২ ডিসেম্বর যাত্রা শুরু করা ৫ সদস্যের এই কমিটি আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে বিধি অনুযায়ী সাধারন সভার মাধ্যমে একটি পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করবে বলে খুলনা বিভাগীয় শ্রম অধিদপ্তরের নির্দেশনায় বলা হয়েছে।