
নিজস্ব প্রতিবেদক: ভোমরার মহাসিন গোল্ড ও হুন্ডির ব্যবসা করে কোটি কোটি কালো টাকার মালিক হয়েছে।
ছাত্রলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে কাস্টমস্ কর্মকর্তাদের কাছে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে দলীয় পদ খোয়ানো মহাসিন এখন বেপরোয়া।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, গত দুই বছর ভোমরা বন্দরে আমিনিয়া এন্টারপ্রাইজের নামে ভোমরা বন্দরে আমদানি-রপ্তাানি ব্যবসা শুরু করে মহাসিন। পাথর ও পেঁয়াজের এলসি দেয় ওপারের প্যারাডাইস এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী শহিদুল ইসলামের নামে। মাল না এনে গেট পাশ বিক্রি করে এবং টাকা এপার-ওপার করে হুন্ডির মাধ্যমে। এই হুন্ডির ব্যবসা তার ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছে। হুন্ডির পাশাপাশি গোল্ডের ব্যবসার সাথেও জড়িত মহাসিন। মহাসিন গোল্ড এপার ওপার করতে গিয়ে ঢাকার জনৈক ব্যবসায়ীর ২০ লক্ষ টাকার গোল্ড চোট দেয়। ভারতের বোম্বে থেকে আসা সোনার গহনা ঢাকায় পৌছানো এবং ঢাকা থেকে চকলেট এনে তা ওপারে পৌছে দেয়ার কাজের সাথে জড়িত কোটিপতি বনে যাওয়া মহাসিন।
মহাসিন শাঁখরা কোমরপুর তিন তলা বাড়ি বানিয়েছে দুই কোটি টাকা খরচ করে। অপরদিকে ভোমরাতে আমিনিয়া মার্কেটে চার তলা বানিয়েছে পাঁচ কোটি খরচ করে। গোল্ড ও হুন্ডির ব্যবসা থেকে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনে যাওয়া মহাসিন এখন অনেকটা বেপরোয়া ভোমরা অঞ্চলে। কাস্টমস্ কর্মকর্তাদের কাছে চাঁদাবাজী করতে গেলে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। পরে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের পদ থেকে তাকে সরানো হয়।