
হাবিবুর রহমান : জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে সামনে রেখে গুরুত্বপূর্ণ দু’টি পদ পেতে জোর প্রচেষ্টা চলছে নেতাদের মধ্যে। কাউন্সিলরদের ভোট নয় খোদ দলীয় সভানেত্রী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করবেন এমনটি ভাবছেন প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে নাম শোনা যাচ্ছে বর্তমান সভাপতি মুসসুর আহম্মেদ, সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী ইজ্ঞনিয়ার শেখ মুজিবর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ডা. আ.ফ.ম রুহুল হক এমপি, সহ সভাপতি মীর মোস্তাক আহম্মেদ রবি এমপি।
সাধারণ সম্পাদক পদে নাম শোনা যাচ্ছে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. নজরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র, সাংগঠণিক সম্পাদক সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু ও শেখ সাঈদ উদ্দিন।
আসন্ন সম্মেলনকে সামনে রেখে তৃণমূল পর্যায়ে কোন কাউন্সিলর নির্বাচন করা হচ্ছে না। বিগত সম্মেলনে নির্বাচিত তৃণমূলের কাউন্সিলরদের দিয়েই সারা হচ্ছে উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন। কালিগজ্ঞ উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন শেষ হয়েছে। সেখানে সমঝোতার মাধ্যমে জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতারা সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও সিনিয়র সহ সভঅপতি মনোনীত করেছেন।
অপর তিনটি উপজেলায় আওয়ামী লীগের মধ্যে কলারোয়ায় সম্মেলন ৩০ নভেম্বর, তালা উপজেলা সম্মেলন ২৭ নভেম্বর, সাতক্ষীরা সদরের সম্মেলন ৩ ডিসেম্বর, দেবহাটা সম্মেলন পহেলা ডিসেম্বর ও শ্যামনগর উপজেলা সম্মেলন ৫ ডিসেম্বর।
উপজেলা গুলোর সম্মেলনের পর ১২ ডিসেম্বর হচ্ছে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন। সম্মেলনের পূর্বে উপজেলাগুলো থেকে কাউন্সিলর তালিকা আসবে জেলাতে। কাউস্লির তালিকা আসলেও জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে ভোটাভুটির কোন সম্ভাবনা নেই বল্লেই চলে।
বিগত সম্মেলনেও ভোট হয়নি। দলীয় সভানেত্রীর সিগনালেই সভাপতি ও সম্পাদকের নাম ঘোষনা করে যান কেন্দ্রীয় নেতারা। এবারও বইছে এমনই হাওয়া। তবে সভাপতি পদে বসতে আগ্রহীরা অনেকটাই নিশ্চুপ অবস্থায় রয়েছেন।
সাধারণ সম্পাদক পদে নতুন মুখ আসাদুজ্জামান বাবু মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। তিনিও তার কর্মীরা ইতোমধ্যে স্যোশাল মিডিয়ায় প্রচার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর দোয়াও পেয়েছেন তিনি। সাধারণ সম্পাদক পদে নাম শোনা যাচ্ছে জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. নজরুল ইসলামের। এছাড়াও শেখ সাঈদ উদ্দিনের নামও শোনা যাচ্ছে। তৃণমূল নেতাকর্মীদের কাছের মানুষ তিনি।