আহাদুর রহমান:
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। সঠিকভাবে ঔষধ না দেয়া, হাজিরা দিয়েই কর্মস্থল ত্যাগ, আল্ট্রাসনোগ্রাফির রোগীকে কৌশলে ক্লিনিকে পাঠিয়ে কমিশনের টাকা নেয়া সহ নানাবিধ অনিয়মের অভিযোগ আছে এই পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা (FWV) রনি খাতুনের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ কর্তব্যে অবহেলা, অনিয়ম আর স্বেচ্ছাচারিতার মধ্য দিয়ে চলছে তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের কার্যক্রম।
এলাকাবাসী ও স্বাস্থ্য সেবা নিতে আসা রোগীদের সূত্রে জানা গেছে, সময়মতো অফিস করেন না রনি খাতুন। অফিস করলেও স্বাস্থ্য সেবা দিতে অনিহা দেখান তিনি। তিনি ক্লিনিক লাগোয়া কোয়ার্টারে থাকলেও, সেবার পেতে অসুস্থ্য রোগীদের ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়। অনেকে তাকে ডেকে আনতে বাসায় যায়। আর তখনই তাদের সাথে শুরু করেন খারাপ আচরণ। এছাড়াও গর্ভবতী মহিলাদের চেকআপ আয়া তিলোকা রানীকে দিয়ে করান তিনি। এছাড়াও প্রয়োজনীয় ঔষধ ও দেন না। বলেন ঔষধ নেই, এ মাসে দেয়নি। বেশি জোরাজুরি করলে দু’একটা ঔষধ দেন। বেশিরভাগ রোগীদেরই বাইরে থেকে ঔষধ কিনে নিতে হয়।
এছাড়া স্যাটেলাইট ক্লিনিকে দেরী করে যান তিনি। বেলা ১১ টায় যেয়ে ১২টার পরপরই ফিরে আসেন। করোনা ভাইরাসের জন্য গ্রামে স্যাটেলাইট ক্লিনিক বন্ধ। স্যাটেলাইট ক্লিনিকে যেখানে যাওয়ার কথা সেখানে না যেয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের কাজ করেন। সরকারী নির্দেশনা না মেনে অগ্রীম কর্মসূচি করেছেন তিনি। রনি খাতুন এই কেন্দ্রে চাকুরীরত আছেন প্রায় ৫ বছর। এই ৫ বছর ধরেই এই এলাকার মানুষ তার কাছ থেকে স্বাস্থ্য সেবা বঞ্চিত।
আরও পড়ুন:
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বাস্থ্য কেন্দ্র লাগোয়া এক নারী জানান, যে সময় রনির মেয়ের স্কুল খোলা ছিল সে সময় মেয়েকে সুভাষিনী স্কুলে দিয়ে আসত। আর অসহায় রোগীদের বসে থাকা লাগতো দীর্ঘক্ষণ। এ ছাড়াও আল্ট্রাসনোগ্রাফি করতে তালা সার্জিক্যাল ক্লিনিকে পাঠিয়ে গরীব মায়েদের কাছ থেকে রেফারেল ফী বাবদ টাকা হাতিয়ে নেন তিনি।
অভিযোগ প্রসঙ্গে পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা (FWV) রনি খাতুনের মোবাইল নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে নম্বরটি বন্ধ দেখায়। তাই যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে জেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসের উপ-পরিচালক রওশন আরা জামান জানান, এমন অভিযোগ আগে আমার কাছে আসেনি। তবে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।