কিশোর কুমার: মাত্র ৮ম শ্রেণি পাশ। কাজ করতেন ঔষধের দোকানে, বর্তমানে পল্লী চিকিৎসক সেজে করছেন নানা প্রতারণা। অভিযুক্ত প্রতারক ওই হলেন তালা উপজেলার বাগডাঙা গ্রামের শিবগোলদারের ছেলে উজ্জল গোলাদার (২৯)। অভিযোগ রয়েছে, চিকিৎসা পেশার আড়ালে নিরিহ মানুষকে পুলিশ হয়রানি করে নিয়মিত টাকা আদায় করেন তিনি। তার অপকর্মের বিষয় মুখ খুললে হতে হয় পুলিশি হয়রানির স্বীকার। নাম না জানানোর শর্তে স্থানীয় একাধিক ছাত্রলীগ নেতারা জানান, উজ্জল কোন প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলে ফার্মেসীর দোকান খুলে ডাক্তারী চেম্বার বসিয়ে নিয়মিত রোগী দেখেন। তার ওই দোকানে প্রায় কপোত-কপোতির আনাগোনা হয়। এছাড়া জনশ্রুতি রয়েছে তার ওই দোকানে চেম্বারে বসে ঘটানো হয় অবৈধ গর্ভপাতের মত ঘটনা। এছাড়া সে বর্তমানে থানা পুলিশের সাথে গভীর সখ্যতা গড়ে এলাকার নিরিহ মানুষকে হয়ারনি করে সে। তারা অভিযোগ করে আরো বলেন, উজ্জল নিজে একজন মাদকসেবী। সে এলাকার উঠতি বয়সী ছেলেদের কাছে ঘুমের ঔষধ ও কাশির সিরাপ বিক্রি করে তাদের নেশায় আশক্ত করে মাদকের সম্রাজ্য গড়ে তুলতে চাইছে। এছাড়া তার কোন ফার্মেসীর লাইসেন্স এবং পল্লীচিকিৎসকের কোন সনদপত্র না থাকা সত্তেও দিনের পর দিন মানুষকে বোকা বানিয়ে প্রতরনা করে যাচ্ছে। সব শেষে এ প্রতারকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবীতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছে তারা। অভিযোগ অস্বীকার ওই পল্লী চিকিৎসক উজ্জল গোলাদার জানান, ডাক্তারী পেশার আমি আগে পাটকেলঘাটা বাজারে ন্যাশনাল ফার্মেসীত কর্মচারী ছিলাম। পরে সেখান থেকে পল্লী চিকিৎসকের পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেছি। কয়েকমাস আগে আমি এখানে ঔষধ ফার্মেসীর পাশাপাশি মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছি। তবে এখন আমার কোন কাগজপত্র হাতে পায়নি। পুলিশের সাথে ভাল সম্পর্ক থাকার কারনে মানুষ আমার নামে মিথ্যে বদনাম করছে। মেয়েদের গর্ভপাতের বিষয়ে কথা বললে তিনি বলেন, এসব ধরনের কিটিকাল কেস মাঝে মাঝে আমার কাছে আসে আমি সেগুলি আবার বিভিন্ন ক্লিনিকে পাঠিয়ে দিই। সেখান থেকে কিছু কমিশন পাই আর কি। বিষয়টি নিয়ে পাটকেলঘাটা থানা পল্লী চিকিৎসক সমিতির সভাপতি হাদিউজ্জামানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, উজ্জল নামে কোন চিকিৎসক আছে বলে আমার জানা নেই। এছাড়া প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়া কারোর কোন চিকিৎসা সেবা দেওয়ার একতিয়ার নেই। যদি কেউ করে থাকে তবে সে একজন ভূয়া চিকিৎসক। তালা উপজেলা সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আরাফাত হোসেন জানান, এধরনের প্রতারকদের বিরুদ্ধে প্রশাসন সচেষ্ট রয়েছে। দ্রুত এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।