শেখ ইমরান হোসেন, তালা থেকে: পঁচিশ হাজার টাকা আসে সাহাবুদ্দীনের ব্যক্তিগত বিকাশ একাউন্টে । পরবর্তিতে সেই টাকা আবার ফেরতও দিয়ে দেন তিনি। সাহাবুদ্দিন গাজী (৪০) একজন ব্যবসায়ী, তিনি তালা উপজেলার জেয়ালা নলতা গ্রামের শামসুর রহমান এর পুত্র।
প্রকাশ, গত ২৬ জুন ব্যবসায়ী সাহাবুদ্দীনের ব্যক্তিগত বিকাশ একাউন্টে ২৫০০০ (পঁচিশ হাজার) টাকা আসে। কিছুক্ষন পরেই সাহাবুদ্দিন গাজীর ফোনে ফোন করে তিন জন ব্যক্তি ঔ টাকা দাবি করে। সাহাবুদ্দিন গাজী বলেন, আমি সঠিক মালিকের কাছে টাকা টা ফেরত দিতে চাই। সঠিক তথ্য যাচাই-বাছাই করে টাকার প্রকৃত মালিকের কাছে বৃহস্পতিবার (০১ জুলাই) টাকা ফেরত দিয়ে দেন।
সুত্রে জানা যায়, ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার দুলা মিয়ার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম বিকাশে লেনদেন করার সময় ভূলক্রমে টাকাটা সাহাবুদ্দিন গাজীর ব্যক্তিগত বিকাশ একাউন্টে চলে যায় । পরে মহিলাটি শাহাবুদ্দীন গাজীকে ফোন দিলে তিনি টাকা পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। পরবর্তীতে যাচাই বাছাই পূর্বক মহিলার টাকাটা ফেরত দেন।
এই বিষয়ে মুঠোফোনে আনোয়ারা বেগমের সাথে কথা বললে তিনি জানান, টাকা লেনদেনের সময় ভূলবশত টাকাটি শাহাবুদ্দীন গাজীর বিকাশে চলে যায়। আমি শাহাবুদ্দিন গাজীর কাছে জানতে চাইলে তিনি সত্যতা স্বীকার করে পুনরায় বিকাশ যোগে আমার সম্পূর্ণ টাকা ফেরত দেন। আমি টাকা ফেরৎ পেয়েছি। তার সততায় আমি ও আমার পরিবার অনেক খুশি হয়েছি । তিনি আমার টাকাটা ফেরট দিয়েছেন অন্য কেউ হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ করে রাখে। আমার কিছুদিন আগেও এমন ভুল হয়েছিলো কিন্তু সে আর টাকা ফেরট দেইনি কিন্তু শাহাবুদ্দীন ভাই দিয়েছেন। আমি ও আমার পরিবার তার জন্য সবসময় দোয়া করবো ।
এবিষয়ে শাহাবুদ্দীন গাজী বলেন, আমার বিকাশে কয়েকদিন আগে ২৫ হাজার টাকা আসে । একই টাকার জন্য অনেকেই আমাকে ফোন করেছে তার মধ্যে রয়েছে একজন মহিলা। আমি সঠিক যাচাই/বাচাই করে বুঝতে যে এটি ওই মহিলার টাকা । তাই যারা আমাকে ফোন করেছিলো তাদের সকলের সর্বসম্মতিক্রমে মহিলার বিকাশে টাকা পাঠাই। তিনি আরও বলেন, এই করোনা মহামারিতে প্রকৃত মালিকের কাছে টাকা গুলো দিতে পেলে অনেক ভালো লাগছে। আমি ও আমার পরিবার সততার সাথে জীবন যাপন করার চেষ্টা করি। সকলে আমি ও আমার পরিবারের জন্য দোয়া করবেন।