
মামুন বিল্লাহ: রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করে মুক্তিযোদ্ধাদের মান-সম্মান মর্যাদা নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে। আমরা মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করে ছিলাম রাজনৈতিক হাতিয়ার হতে নয়। রাজনৈতিক ভাবে ছত্রছায়ায় থেকে বহু ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আসল মুক্তিযোদ্ধা হয়ে গেছে। আর যারা ৯ মাস জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে দেশের পতাকা এনে দিয়েছে তাদের নাম মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নাই। খুব তাড়াতাড়ি ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তৈরি ও যাচাই করা হচ্ছে। যাচাই-বাছাই শেষে ভুয়াদের তালিকা করার কাজ চলমান আছে। যাচাই-বাছাই শেষে ভুয়াতদের নাম বাদ দিয়ে অর্থ ফেরত সহ মামলায় জেলা হতে পারে বলে হুশিয়ার উচ্চারণ করেন। তিনি আরো হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে উপজেলা প্রশাসনকে বলেন আপনারা যে দেশে বাস করেন এই দেশটি আমরা স্বাধীন করেছি। আমার গরিব অসহায় বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধারা আপনার নিকটে গেলে কিছু দিতে না পারলেও ভালো ব্যবহারটা করবেন। আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের চেতনা ধারণ করি তাই সবকিছু মানতে পারি কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যারা আঘাত করবে তাদেরকে ছাড় দেওয়া হবে না। মুক্তিযুদ্ধের সময় যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের হাসপাতাল আজ ঢাকা পঙ্গু হাসপাতাল নামে নামকরণ করা হয়েছে । আমার অসহায় বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আলাদা কর্নার এবং সেবার ব্যবস্থা যাতে হয় সেই দাবি জানান। ১৯৭১ সালের ২০ নভেম্বর পাকহানাদার বাহিনীকে হটিয়ে কালিগঞ্জকে পাকহানাদার মুক্ত করে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছিলেন। সেই থেকে ২০ নভেম্বর কালিগঞ্জ হানাদার মুক্ত দিবস পালন করে আসছে। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ মাঠে গত বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) ছিল কালিগঞ্জ পাক হানাদার মুক্ত দিবস । দিবসটি পালন উপলক্ষে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ, দেবহাটা ,আশাশুনী শ্যামনগর অঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে আঞ্চলিক, মিলন মেলায় পরিণত হয়। উক্ত মিলন মেলায় শহীদুর রহমানের সঞ্চালনায় যুদ্ধকালীন সময়ে ৯ নম্বর সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার ক্যাপ্টেন (অবঃ) নুরুল হুদার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুদ্ধকালীন মেডিকেল অফিসার মেজর জেনারেল (অব:) শাহাজাহান আলী সহ বক্তারা উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন ৯ নং সেক্টরের স্পেশাল ফোর্স কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহফুজ আনাম বেগ ,কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল ( অব:) আহসানুল্লাহ ,খুলনা বিভাগীয় মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ক ও ৯ নং সেক্টরের লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব:) আব্দুল্লাহিল শাফি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুজা মন্ডল, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাইনুল ইসলাম খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কালিগঞ্জ সার্কেল রাজিব হোসেন, থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান, সাতক্ষীরা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ইউনিটের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মনোরঞ্জন, কালিগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ, প্রমূখ। এছাড়াও বিভিন্ন উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সন্তান কমান্ডের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানসূচির মধ্যে বেলা ১১ টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন। এরপর আমন্ত্রিত অতিথিদের ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

