জগন্নাথ রায়:
ভাড়ুখালির মাহমুদপুরে আনজু আরা নামের এক গৃহবধু মারপিটের শিকার হয়েছে। আনজু আরা বেগমের স্বামীর নাম কাছেদ আলী। কাছেদ আলীর বড় ভাইয়ের চার ছেলের কাছে মারপিটের শিকার হয় আনজু আরা বেগম।
জানাগেছে, কাছেদ আলীর মা মোজিনা খাতুন তার বাবার বাড়ির সূত্রে কিছু জমি পায়। সে জমি মোজিনা খাতুন তার বোনের ছেলে আহমেদ আলীর মাধ্যমে বিক্রয় করে দেন। বিক্রয়ের ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা আহমেদ আলীর কাছেই রেখে দেন খালা মোজিনা খাতুন। একপর্যায়ে বয়স্ক মোজিনা খাতুন বার্ধক্যজনিত কারণে ন্যাশনাল হাসপাতালে ভতি হয়। সেখানে চিকিতসাধীন অবস্থায় ১৩ মে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এ পর্যন্ত জমি বিক্রির টাকা থেকে মোজিনা খাতুনের চিকিতসার সকল ব্যয়ভার বহন করে বোনের ছেলে আহমদ আলী। তারপরও আহমদ আলীর কাছে কিছু টাকা অবশিষ্ট থেকে যায়। এক পর্যায়ে মজিনা খাতুনের ছোট ছেলে কাছেদ আলী বড় ভাইয়ের কাছে প্রস্তাব দেন খালাতো ভাই আহমদ আলীর কাছে থাকা মায়ের জমানো অবশিষ্ট টাকা অবিবাহিত প্রতিবন্ধী ছোট বোনের নামে জমা রাখতে। এ কথা বলতেই বাকবিতন্ডা শুরু হয়ে যায়। বড় ভাইয়ের চার ছেলে অভিযোগ করতে থাকেন ছোট কাকা কাছেদ আলী সকল টাকা আত্মসাত করেছে। এ কথার প্রতিবাদ জানাতে আসলে কাছেদ আলীর স্ত্রী আনজু আরা বেগমকে চুলের মুঠি ধরে বেধড়ক মারতে শুরু করে ভাসুরের চার ছেলে শরিফুল, সাইদুল, শফিকুল ও শহিদুল। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে সদর হাসাপাতালে ভতি হন আনজু আরা বেগম।
ঘটনার জেরে আনজু আরা বেগমের ভাইয়েরা ভাড়ুখালিতে গেলে শরিফুলরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদেরকে ধাওয়া দিয়ে এলাকা ছাড়া করে। এ বিষয়ে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভুক্তভোগী আনজু আরা বেগম।