আব্দুর রশিদ:
ভাদ্রের বৃষ্টিতে নাকাল সাতক্ষীরার মানুষ। টানা বৃষ্টিতে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। জেলার বিভিন্ন স্থানে ঘের ও ফসলের ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিস স‚ত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকাল থেকে রোববার দুপুর পর্যন্ত ১৪২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারা জানান, সোমবার বিকেল থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে।
টানা বৃষ্টির কারণে শহরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে, এতে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন।সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ এলাকার রিপন বিশ্বাস বলেন, বৃষ্টির কারণে কলেজ মাঠসহ সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। নর্দমার নোংরা পানি পায়ে লাগলে সঙ্গে সঙ্গে চুলকানি শুরু হচ্ছে।
বিনেরপোতা এলাকার মামুন হোসেন জানান, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে অনেকের বাড়িঘরে পানি ঢুকেছে, কেউ কেউ বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। এলাকার কবরস্থান পর্যন্ত ডুবে গেছে।রসুলপুরের বাসিন্দা আজিজুল ইসলাম ইমরান বলেন, প্রতিবছরই একই অবস্থা, কিন্তু কোনো সমাধান নেই।
আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন জানান, বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের কারণে বৃষ্টিপাত হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত ১৩৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যা এ বছরের সর্বোচ্চ। সাতক্ষীরা নাগরিক কমিটির যুগ্ম সচিব আলী ন‚র খান বাবুল বলেন, সাতক্ষীরা শহরের অর্ধেক এলাকা প্লাবিত, বিশেষ করে কামালনগর, পুরাতন সাতক্ষীরা, পলাশপোল, ইটাগাছাসহ বিভিন্ন জায়গায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।
নিম্ন আয়ের মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে।সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম জানান, যেসব এলাকায় জোয়ার-ভাটার ব্যবস্থা নেই, সেখানে পানি বেড়েছে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোনো বাঁধ ঝুঁকিপ‚র্ণ নয়।