নিজস্ব প্রতিবেদক: দীর্ঘদিন ধরে গলদা ও বাগদা চিংড়ি মাছে অপদ্রব্য পুশ করলেও বরাবরই ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকেছে ভাড়ুয়াখলী গ্রামের সুড়িঘাটা পাড়ার শহিদুল ইসলাম। এক যুগেরও বেশি সময় চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশের সাথে জড়িত থাকলেও গডফাদারদের সহযোগীতায় দীর্ঘদিন বিনা বাধায় এ অপকর্ম করে যাচ্ছে সে। সাতক্ষীরায় সদর উপজেলা আলীপুর ইউনিয়ন ভাড়ুয়াখালী গ্রামের সুড়িঘাটা পাড়ার মাছ ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলামের বাড়িতে অপদ্রব্য পুশ চক্র ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে। অসাধু পুশ চক্র যেন কোনোভাবেই দমন করা যাচ্ছে না। র্যাব-পুলিশ, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালিত হলেও, প্রায় সময়েই ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থাকেন মূল হোতারা। তাদের অপতৎপরতার কারণে সৎ ব্যবসায়ীরাও পড়ছেন বেকায়দায়। তথ্যনুসন্ধানে জানা যায়, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলিপুরের ভারুয়াখালীর সুরিঘাটা গ্রামের গলদা ও বাগদা মাছ ব্যাবসায়ী শহিদুল ১২ বছরেরও বেশি সময় ধরে সকল ধরণের চিংড়ি মাছে জেলিসহ নানা ধরনের অপদ্রব্য পুশ করে আসছে। দীর্ঘদিন চিংড়িতে পুশের ব্যবসা করলেও স্থানীয় চিহ্নিত মাদককারবারি গডফাদারদের ছত্রছায়ায় এ হীন কাজ করে যাচ্ছে। স্থানীয় অনেকে এ বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে জানলেও প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। ফলে এ অপদ্রব্য পুশকৃত মাছ সাতক্ষীরার বড়বাজার, পারুলিয়াসহ স্থানীয় বিভিন্ন মাছের বাজারে বিক্রি করে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সাধারণ জনগণ।
কয়েকটি চিংড়ি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সম্প্রতি বিদেশের বাজারে বাংলাদেশের চিংড়ির মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিদেশে চিংড়ির চাহিদা কমে যাওয়ায় স্থানীয় বাজারে দাম পড়তে শুরু করেছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে সাদা সোনা খ্যাত দেশের দ্বিতীয় রপ্তানি পণ্য। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভাড়ুয়াখালী একাধিক ব্যক্তি জানান এই মৎস্য ব্যাবসায়ী, শহিদুল দীর্ঘদিন যাবত তার বসতঘর লাগোয়া বিশেষ একটি ঘরে বাগদা ও গলদা চিংড়ীতে অপদ্রব্য পুশ করে আসছে এবং এলাকার বিভিন্ন অসাধু ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে পুশ পুশকৃত মাছ ক্রয় করে দেশের বড় বড় মাছ কোম্পানিগুলিতে পাঠান। চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশের হোতা শহিদুল ইসলামকে আইনের আওতায় আনার জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে সচেতন মহল।