
হাফিজুর রহমান,কালিগঞ্জ : প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির পরস্পর যোগসাজসে স্কুলের একটি পুরাতন ভবন অর্ধলক্ষ টাকার টিনসেড ভবন নাম মাত্র দশ হাজার টাকায় বিক্রি এবং পুরাতন একাডেমিক ভবন সংস্কারে দশ লক্ষ টাকার কাজে পাঁচ লক্ষ টাকার ঘষা মাজার কাজ করে বাড়তি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার বড়শিমলা ইউনিয়নের বড়শিমলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা এটি।
শনিবার সকালে সরেজমিনে গেলে অভিভাবক আলাউদ্দীন, আবুবক্কার গাজী, মোকলেছুর রহমান, এজাহার আলী, ফজলু গাজী, প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক ওবায়দুর রহমান, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য জাহিদুর রহমান সহ একাধিক ব্যক্তি জানান, বড়শিমলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রায় পুরাতন ঘূর্নিঝড় বুলবুল এ ক্ষতিগ্রস্থ ৫০/৬০ হাজার টাকার একটি ভবন জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে ছিল। উক্ত ভবনটি স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মাহমুদুল হাসান এবং প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানের যোগসাজসে নাম মাত্র দশ হাজার টাকায় ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আবু হাসানের নিকট বিক্রি করে দেয়। এছাড়াও ঐ স্কুলের পুরাতন একাডেমিক ভবন সংস্কারের জন্য মাধ্যমিক বিদ্যালয়, প্রকৌশলী অধিদপ্তর থেকে ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়ে টেন্ডার হয়। পরে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগসাজসে নাম মাত্র পাঁচ লক্ষ টাকার ঘষা মাজা এবং রং করে কাজ শেষ করে বাকী পাঁচ লক্ষ টাকা ভাগ বাটোয়ারা করে উঠিয়ে নেয়া হয়েছে বলে কওে এলাকাবাসী।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদের মুঠো ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টচা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এ বিষয়ে উক্ত স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মাহমুদুল হাসানের নিকট জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ছোট খাটো টাকার সিদ্ধান্ত স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি নিতে পারে। ভবন সংস্কার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলে জানান।
প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানের সঙ্গে ঘটনার সত্যতা জানার জন্য কথা বললে তিনি বলেন ম্যানেজিং কমিটির সভায় সভাপতি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটাই বাস্তবায়ন করা হয়েছে। তবে বিষয়টি পত্রিকায় না দেয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়ে বলেন ভবন সংষ্কারের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।