
নিজস্ব প্রতিবেদক: সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর বাজারে সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্য ফটোকপি দোকানদার সুজন কুমার পালকে দেশ ছাড়ার হুমকীসহ চড়, থাপ্পড়,কিল, ঘষি মারার অভিযোগ পাওয়া গেছে ধুলিহর ইউনিয়ন আ’লীগের ভারপাপ্ত সভাপতি সাংগঠনিক নিয়ম নীতি বর্হিভূত সদ্য ইউনিয়ন সভাপতি ও দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ বোরহান উদ্দীনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগ সূত্রে প্রকাশ, ব্রহ্মরাজপুর বাজারে জয়দেব পালের পুত্র সুজন কুমার পাল (২৬) বাজার সংলগ্ন কৃষিব্যাংকের নিচে তার ফটোকপির দোকানে কাজ করছিলো। এমতাবস্থায় ( ১৯ জানুয়ারি ) মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে ফটোকপি করার জন্য আসে আ’লীগ নেতা বোরহান। তার কাজে একটু দেরি হওয়ায় নিজ ইচ্ছামত ভারপ্রাপ্ত থেকে সরাসরি সভাপতি নামধারী আ’লীগ নেতা শেখ বোরহান উদ্দীন (৪৫) অতর্কিতভাবে এলাপাতাড়ি চড়, থাপ্পড়, কিল, ঘুষি মারিয়া সুজন পালের মুখের বাম পার্শ্বে কাটা রক্তাক্ত জখমসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে বেদনাদায়ক জখম করে। শুধু তাই নয় “তুই হিন্দু তোকে দেশ ছাড়া করিব” বলিয়া আস্ফালন করতে করতে সুজন পালের গলার তুলসির মালা টেনে ছিড়ে দেয়। সুজন পাল থানায় লিখিত অভিযোগে আরও জানান, আর এই ঘটনার সময় তার মা সহ পরিবারের লোকজন আগাইয়া আসিলে আমাকেসহ পরিবারের সদস্যদের খুন জখমের হুমকী দিয়া চলে যায়। এসময় তার সাহযোগী ছিলো ধুলিহর গ্রামের আব্দুল মজিদের পুত্র মজ্ঞুরুল ইসলাম মনজেল (২৬)। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, যে ভারপ্রাপ্ত থেকে সরাসরি সভাপতি হওয়ার জন্য সংগঠনের কোন সদস্যকে তোক্কা করে না। সে সাধারণ সংখ্যালঘুকে শারীরিক নির্যাতন করবে তাতে কার কি করার থাকে। ইতিপূর্বে তার বিরুদ্ধে এমন অনেক অভিযোগ আছে। এ ঘটনায় সাতক্ষীরা সদর থানায় তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আ’লীগ নেতা শেখ বোরহান উদ্দীনের সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে তার ব্যবহৃত মোবাইল বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।