নিজস্ব প্রতিবেদক: আদালতের নির্দেশে জমির দখল বুঝিয়ে দেওয়ার পরও জমির ঘেরা বেড়া ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রক্ষ্মরাজপুরের মাটিয়াডাঙ্গা গ্রামে ঘটেছে। তথ্যানুসন্ধান ও ভুক্তভোগী সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মাটিয়াডাঙ্গা গ্রাামের মৃত মাকছুদ আলীর ছেলে শাহ আলম জানান, সাতক্ষীরা জেলার ধুলিহর মোৗজায় এনএ ২৮৬০ খতিয়ান, ডিপি ৩০৬৫ খতিয়ানের ৩৬১৬, ৩৬১৭, ৩৬১৮ দাগে ৫২ শতক জমি একই এলাকার নৈমুদ্দীন সরদারের ছেলে আলীমুদ্দীন সরদার জবর দখলের পায়তারা করে। এর প্রতিকার চেয়ে শাহ আলম আদালতে দেঃ ২২৩/০৯ নং মামলা দায়ের করেন যা তার পক্ষে রায় যায়। পরবর্তীতে ১১২/২০১২ নং আপীল শুনানী শেষেও রায় শাহ আলমের পক্ষে যায়। শাহ আলম নিজ জমি বুঝে পাওয়ার জন্য আদালতে ২/২৩ জারি মামলা করলে জমি দখলের জন্য আদেশ জারি করে আদালত। আদালতে নির্দেশনা মোতাবেক সাতক্ষীরা জজ কোর্টের নাজির মোহাম্মদ আলী ০৯ আগস্ট’ ২০২৩ তারিখে সকাল ১০টায় ঢুলি শ্রী খগেন দাশকে নিয়ে ঢোল পিটিয়ে জমিতে লাল পতাকা টানিয়ে জমি শাহ আলমকে বুঝিয়ে দেন। জমি বুঝে পেয়ে শাহ আলম তার জমির সীমানায় আরসিসি পিলার দিয়ে সীমানা চিহ্নিত করে রাখেন। শাহ আলম অভিযোগ করে বলেন, ‘কিন্তু আলিমুদ্দীন সরদার ও তার ছেলে মাহফুজ, মৃত জয়নুদ্দীন গাজীর ছেলে জিয়াদ আলী, মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মুকুল, লুৎফর রহমানের ছেলে দুলি, আব্দুল লতিফ, আব্দুর রহিমসহ একই এলাকার মৃত আব্দুল কাদেরর ছেলে মিজানুর রহমান, হাবিবুর রহমান, বিল্লাল হোসেন, ইকবাল হোসেন, সিরাজুল ইসলাম তাদের সাথে সন্ত্রাসী বাহিনী সাথে নিয়ে আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে মহামান্য আদালতের নির্দেশিত পতাকা ও সীমানা পিলারগুলো বার বার রাতের আঁধারে ভাংচুর করে আবারও জমি বেদখলে চেষ্টা চালাচ্ছে।’ অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আলিমুদ্দীন সরদার জানান, ‘শাহ আলম অবৈধ ভাবে আমার জমি দখল করে আছে। সে আমাদের হয়রানি করছে।’ আদালত শাহ আলমকে জমির দখল বুঝিয়ে দেয়ার বিষয়টি তিনি স্বীকার করলেও আলিমুদ্দীন তার দাবিতে অনড়।’ সীমানা পিলার সহ ঘেরা বেড়া ভাংচুরের ঘটনা তিনি অস্বীকার করেন। তবে তিনি এও স্বীকার করেন যে, মাটিয়াডাঙ্গা এলাকায় শুধুমাত্র শাহ আলম ও আলীমুদ্দীনেরই জমি জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ আছে। মাটিয়াডাঙ্গা এলাকার আক্তার হোসেন আলীমুদ্দীনের পক্ষে কথা বললেও তিনি স্বীকার করেন ‘যে আদালতের নির্দেশে ঢোল পিটিয়ে জমির দখল শাহ আলমকে বুঝিয়ে দেয়া হয়।’ আদালত কর্তৃক জমি বুঝিয়ে দেওয়ার সময় উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শী সৈয়দ জয়নুল আবেদিন জানান, ‘শাহ আলমের কোর্টের আদেশ মতে রায়। মাটিয়াডাঙ্গায় ৯ আগস্ট সাতক্ষীরা জজ কোর্টের নাজিরসহ নিয়ম অনুসারে ঢোল পিটিয়ে জমিতে লাল পতাকা টানিয়ে দেয়া হয়। এসময় বাদী-বিবাদীসহ উপস্থিত গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের কাছ থেকে নিয়ম অনুসারে দখল হয়েছে মর্মে সহি-স্বাক্ষর নেওয়া হয়।’ ভুক্তভোগী শাহ আলম জানান, ‘আদালতের মাধ্যমে জমির দখল বুঝে পেলেও হয়রানি কমেনি। রাতের আঁধারে আমার জমির ঘেরা-বেড়া, সীমানা পিলার ভাংচুর করছে আলিমুদ্দীন ও তার সহযোগীরা। এছাড়াও বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমার নামে অপ-প্রচার চালাচ্ছে। আমি ঢাকায় ব্যবসা করি। গ্রামের বাড়িতে না থাকার সুযোগে তারা প্রতিনিয়ত আমাকে হয়রানি করে যাচ্ছে। আমি এর প্রতিকার চাই।’ এসকল অভিযোগের বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মহিদুল ইসলাম জানান, ‘অভিযোগ পেয়েছি। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
ব্রম্মরাজপুরে আদালতের রায় ডিক্রী জারিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে জমি দখলের পায়তারা
পূর্ববর্তী পোস্ট