প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ১৬, ২০২৫, ১২:২১ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ নভেম্বর ১৫, ২০২৫, ৭:২২ অপরাহ্ণ
বুধহাটা বাজারে সাপ্তহিক ছুটির ফাঁদে ফার্মেসি : রোগীদের চরম ভোগান্তি
জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি (সাতক্ষীরা) ঃ আশাশুনি উপজেলার প্রাণকেন্দ্র বুধহাটা বাজারে ফার্মেসি ব্যবসায়ীদের সাপ্তাহিক ছুটির নামে দোকান বন্ধ রাখায় ওষুধ সংকটে পড়ছে সাধারণ রোগীরা।
শনিবার সকাল থেকেই বাজারের বেশিরভাগ ফার্মেসি বন্ধ ছিল। গ্রাম গঞ্জের সাধারণ মানুষ চিকিৎসা নিতে এসে ওষুধ না পেয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হন। দূরদূরান্ত থেকে এসে প্রয়োজনীয় ওষুধ না পেয়ে অনেককেই হতাশ হয়ে ফিরতে দেখা গেছে। গ্রামের রোগিরা অনেকেই বাকীতে কেনা বেচা করে থাকে। তার বাকী পাওয়া দোকান বন্ধ থাকায় অনেককে ঔষধ না নিয়ে ফিরতে হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও বিশেষ ওষুধ শুধুমাত্র বুধহাটা বাজারের ফার্মেসিগুলোতেই পাওয়া যায়। তাই হঠাৎ করে এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখায় জরুরি মুহূর্তে রোগীরা পড়েন বিপাকে। তাদের অভিযোগ—“ঔষধ একটি জরুরি সেবা, যা মানুষের প্রাণের সঙ্গে জড়িত। ইচ্ছাকৃতভাবে এই সেবা বন্ধ রাখা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”
বন্ধ থাকা ফার্মেসিগুলোর তালিকা
শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়—
জনসেবা ফার্মেসী, ইনসাফ ফার্মেসী, লাইফ লাইন ফার্মেসী, আল-বারাকা ফার্মেসী, শেখ ফার্মেসী, রোগমুক্তি ফার্মেসী, প্যারাডাইস ফার্মেসী, রাজু ড্রাগ হাউস, পাল ফার্মেসীসহ বাজারের অধিকাংশ ফার্মেসি বন্ধ ছিল।
অন্যদিকে রোগ মুক্তি ফার্মেসী, হুজাইফা ফার্মেসী, লিটন ফার্মেসী ও সীমান্ত ফার্মেসী খোলা পাওয়া যায়।
মালিকদের বক্তব্যে এক ফার্মেসি মালিক জানান, “দোকান বন্ধ থাকলে আমাদেরই আর্থিক ক্ষতি হয়। বন্ধ রাখতে আমাদের ইচ্ছে নেই। তবে সভাপতির নির্দেশেই দোকান বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছি।”
ফার্মেসী ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আশরাফুল আলম তুহিন বলেন,
“জেলা সমিতির মতো আমরাও নতুন নিয়ম চালু করেছি। বুধহাটা বাজারে ফার্মেসিগুলো ‘দশটা–দশটা ভাগ’ করে পালাক্রমে বন্ধ থাকবে। সবাই বিষয়টি জানে। এতে তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না।”
তবে স্থানীয়দের দাবি—সিন্ডিকেটের এ ধরনের সিদ্ধান্ত রোগীদের জীবনের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। তারা দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চান।
Copyright © 2025 দৈনিক সাতনদী. All rights reserved.