শেখ বাদশা:- গবাদি পশু পালনের জন্য বসত ঘরের পাশেই নির্মাণ করেছিলেন ছোট্ট একটি গোয়াল ঘর। ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস সেই গবাদি পশুর জায়গায় গিয়েই বসবাস করতে হচ্ছে একটি পরিবারের। আর এমনই ঘটনা ঘটেছে আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের কওমী মাদ্রাসা সংলগ্ন বুধহাটা গ্রামে।
নানা বাড়িতে মায়ের অংশের জমিতে দীর্ঘদিন ধরে মেঠো ঘরে বসবাস করে আসছেন আব্দুস সালাম বাবলু ও মা জামেলা বেগম। পিতা থাকতেও নিজের পরিবারের ভরণপোষণ না দেওয়ায় মাকে নিয়ে নানাবাড়ি বুধহাটা গ্রামেই বসবাস করেন তিন সন্তানের জনক বাবলু হোসেন। পিতার অবর্তমানে পরিবারের প্রধান হওয়ায় এনজিও থেকে ঋন নিয়ে একটি মোটরসাইকেল কিনে মটরসাইকেল ভাড়ায় চালান তিনি। ১৬ বছরের এক মেয়ে, দুই শিশু সন্তান ও স্ত্রী এবং বৃদ্ধা মাকে নিয়ে সংসার তার। যেখানে তার অল্প আয়ে মা ও স্ত্রী-সন্তানদের মুখে দু-বেলা দুমুঠো ভাত তুলে দিতে হিমসিম খান তিনি, সেখানে জরাজীর্ণ কুড়ে ঘরটি সংস্কার করা একেবারেই অসম্ভব বলে সাতনদীকে জানান মোটরসাইকেল চালক বাবলু হোসেন।
বাবলু'র মা জামিলা বেগম সাতনদীকে বলেন, আমরা কখনও সরকারি কোন সাহায্য সহযোগিতা পাই না। আওয়ামী লীগ সরকার শুনি গরীব মানুষের ঘর দেয়, কিন্তু ঘর দেওয়া তো দূরে থাক, কেউ কখনও আমাদের খোঁজও নিতে আসেনা। তিনি আরও বলেন, সেই আম্ফানের পর থেকে আমরা অতি কষ্টে এই ছোট্ট গোয়াল ঘরে বসবাস করছি। এ গোয়ালঘরে শীতের সময় প্রচন্ড শীত ও গরমের সময় মশার যন্ত্রণায় ঘুমাতে পারেন না বলে দুঃখ প্রকাশ করেন মা জামিলা বেগম। বুধহাটা ইউনিয়ন শ্রমিক লীগ সভাপতি ও ইউপি সদস্য প্রার্থী হাতেম আলী সাতনদীকে বলেন, জামিলা বেগমের মত অসহায় মানুষ সরকারি সহযোগিতা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঘটনা দুঃখ জনক। তিনি সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে বিষয়টি অবহিত করবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন। এব্যাপারে জানতে চাইলে বুধহাটা ইউপি চেয়ারম্যান আ ব ম মোসাদ্দেক সাতনদীকে বলেন, বিষয়টি জানা ছিলো না। তবে লিখিত ভাবে আবেদন করলে অবশ্যই সরকারি সহযোগিতা সহ পরবর্তী বাজেটে গৃহ নির্মাণের ব্যবস্থা করা হবে।