প্রিন্ট এর তারিখঃ অগাস্ট ১৫, ২০২৫, ৩:০৯ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুন ২০, ২০২৫, ৯:১১ অপরাহ্ণ
বুধহাটায় ইনসাফ মেডিসিন কর্ণারে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রয়ের অভিযোগ
জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি (সাতক্ষীরা) : আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা বাজারে ইনসাফ মেডিসিন কর্নার (ফার্মেসি) এর বিরুদ্ধে মেয়াদ উত্তীর্ণ মেডিসিন বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া বিভিন্ন কোম্পানির সাথে দুর্ব্যবহার সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগে জানাগেছে, বুধহাটা গ্রামের বিশিষ্ট কসমেটিক ব্যবসায়ী ফারুক হোসেন গত শুক্রবার অসুস্থ হয়ে পড়লে তার দোকান থেকে একটি ইনজেকশন নিয়ে যান। ইনজেকশনটা মেয়াদ উত্তীর্ণ থাকায় ডাক্তার সেটি তার শরীরে প্রয়োগ করেননি। পরবর্তীতে তিনি সুস্থ হয়ে সাংবাদিকদের সাথে নিয়ে তার দোকানে গিয়ে উক্ত ইনজেকশন বক্স বের করতে বললে দেখা যায় বক্সে যতগুলো ইনজেকশন রয়েছে সবগুলো মেয়াদ উত্তীর্ণ।
এ সময় সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তারা উত্তর দেয়, ভুলবশত এ ওষুধটি দেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ইনসাফ এর মালিক আশরাফুল আলম তুহিনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ইনজেকশনটি আমি হাতে দিয়েছি কোন অবস্থাতে মেয়াদ উত্তীর্ণ থাকার কথা না। এ সময় একাধিক ব্যক্তি সাংবাদিকদের কে বলেন, প্রায় সময় তার দোকানে এমন ঘটনা ঘটে এছাড়া তিনি বিভিন্ন কোম্পানির লোকের সাথে দুর্ব্যবহার করেন এবং মেডিসিনের টাকা সময় মত পরিশোধ করেন না বলেও অভিযোগ রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে একজন কোম্পানির প্রতিনিধি মোঃ আব্দুল কালাম তার মেডিসিনের টাকা আনতে গেলে তার দোকানে থাকা কর্মচারীরা তার সাথে মার মুখো আচরণ করেন। এসময় সেখানে কয়েক শত মানুষ উপস্থিত হয়ে কোম্পানির প্রতিনিধিদের সাথে এ ধরনের ব্যবহার না করতে বলেন।
উল্লেখ্য, ইনসাফ মেডিসিন কর্ণারের বিরুদ্ধে এক মাস আগে একটা শিশুর প্রেসক্রিপশনে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রি করেছিলেন। বিষয়টি নিয়ে তার কাছে সাংবাদিকরা তথ্য নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় নিউজ ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও প্রকাশ করেছিলেন। স্থানীয়দের দাবি ইনসাফ মেডিসেন কর্ণারের বিরুদ্ধে একাধিকবার নিউজ হয়েছে, বিভিন্ন ভাবে তাকে সতর্ক করা হচ্ছে কিন্তু সে তার অবৈধ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছে সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ।
Copyright © 2025 দৈনিক সাতনদী. All rights reserved.