স্পোর্টস ডেস্ক:
বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) প্রথম দিন সেঞ্চুরি করেছিলেন দক্ষিণাঞ্চলের সাদমান ইসলাম। দ্বিতীয় দিন শতক হলো ৩টি। উত্তরাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চল ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছেন মুমিনুল হক ও নাঈম ইসলাম, মধ্যাঞ্চলের হয়ে শতক হাঁকিয়েছেন জাকের আলি অনিক।
মুমিনুল সেঞ্চুরি করেছেন পূর্বাঞ্চলের হয়ে। উত্তরাঞ্চলের ৩৭৮ রানের জবাবে ২১৭ রান দিয়ে দিন শেষে করেছে মুমিনুলের দল। সাবেক টাইগার ক্যাপ্টেন ১৫২ বলে করেন ১০৩ রান। তার ইনিংসে ছিল ১৪টি চার ও একটি ছয়ের মার। তার শতকের আগে উত্তরাঞ্চলের হয়ে শতক হাঁকান নাঈম। ৩০০ বলে তিনি করেন ১০৭ রান।
উত্তরাঞ্চলের চেয়ে এখনও ১৬১ রানে পিছিয়ে আছে পূর্বাঞ্চল। ৫০ রান নিয়ে দলপতি জহুরুল ইসলাম ও ১০৩ রান নিয়ে অপরাজিত রয়েছেন মুমিনুল।
অন্যদিকে মধ্যাঞ্চল বনাম দক্ষিণাঞ্চল ম্যাচে সাদমানের ১৩০ রানে ভর করে ৩১৩ রান তোলে দক্ষিণাঞ্চল। জবাবে ১০ উইকেটে ২৮৩ রান নিয়ে দিন শেষ করেছে মধ্যাঞ্চল। জাকের আলি শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ১৩৮ রানে। তার ২১২ বলের ইনিংসে আছে ১৫টি চার ও ২টি ছয়। মধ্যাঞ্চল এখনও পিছিয়ে আছে ৩০ রানে।
আগের দিন দক্ষিণাঞ্চলের হয়ে ২৪০ বলে ১৩০ রান করেন সাদমান। তার ইনিংসে ছিল ১৭টি চার ও একটি ছয়ের মার। তার সঙ্গে ইনিংস ওপেন করতে নামেন পিনাক ঘোষ। পিনাক রনির বলে আউট হন গোল্ডেন ডাক দিয়ে। ওয়ানডাউনে খেলতে নামেন এনামুল হক। তিনি সাদমানকে খুব বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি। ৩৭ বলে ২৩ রান করে এনামুল সাজঘরে ফেরেন রানআউটের শিকার হয়ে।
সাদমানের সঙ্গে অমিত হাসান অনেকক্ষণ ক্রিজে টিকে ছিলেন। রাকিবুল হাসানের বলে আরিফুলকে ক্যাচ দেয়ার আগে ৩০ রান করেন তিনি। ৮৭ বলে অমিতের ইনিংসটিতে আছে ৫টি চারের মার। এরপর ফজলে রাব্বির সঙ্গে লম্বা জুটি গড়েন সাদমান। দুজনের ১১০ রানের জুটির পর আঘাত করেন অলরাউন্ডার সৌম্য সরকার। ফিফটি পূর্ণ করে ফজলে রাব্বি ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে।
রাব্বির বিদায়ের পর ঝটপট বিদায় নেন ইমরানুজ্জামান, নাহিদুল ইসলাম ও সাদমান। শেষ পর্যন্ত ৩১৩ রান করতে সমর্থ হয় তারা। নাসুম ৪৪ ও সুমন খান করেন ১১ রান। মধ্যাঞ্চলের হয়ে ৫টি উইকেট পান আবু হায়দার রনি।