সাতনদী অনলাইন ডেস্ক: ২০২১ সালে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ১০০ দেশের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। শনিবার (২ জানুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সিইওওয়ার্ল্ড ম্যাগাজিন একটি র্যাংকিং তালিকা প্রকাশ করে যেখানে ১৯০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৮১তম।
ম্যাগাজিনের তালিকায় ১০০ নম্বরের মধ্যে বাংলাদেশের স্কোর ৬১.৬৭। সর্বোচ্চ ৯৮.০৯ স্কোর নিয়ে তালিকার শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে চীন। এরপর রয়েছে যথাক্রমে রাশিয়া, ভারত ও ফ্রান্সের নাম।
তালিকায় ছয় নম্বরে অবস্থান করছে জার্মানি। সাত নম্বরে আছে জাপান। এরপরে যথাক্রমে অবস্থান করছে যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ কোরিয়া ও ইসরায়েল। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ম্যাগাজিনের তালিকায় বাংলাদেশের ওপরে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। যেখানে ভারতের অবস্থান চতুর্থ, পাকিস্তানের অবস্থান ৩৭তম এবং শ্রীলঙ্কার অবস্থান ৮০তম।
তালিকাটির দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে থাকা চীন ও রাশিয়ার স্কোর যথাক্রমে ৯৪.২৯ এবং ৯৪.১১। সৌদি আরব, তুরস্ক ও কাতার রয়েছে যথাক্রমে তালিকার ১১, ১৮ ও ২১ নম্বরে।
র্যাংকিং তালিকা নির্ধারণের জন্য সিইওওয়ার্ল্ড ম্যাগাজিনের গবেষকরা ৭টি মূল বিভাগে ১৯০টি দেশকে সংকলন, বিশ্লেষণ ও তুলনা করেছেন। সেগুলো হল- রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক প্রভাব, প্রতিরক্ষা বাজেট, দেশের অস্ত্র, বৈশ্বিক জোট, কূটনৈতিক সক্ষমতা এবং সামরিক শক্তি।
তালিকা প্রকাশ করার জন্য সিইওওয়ার্ল্ড ম্যাগাজিনের গবেষণাটি ২০২০ সালের ১৯ অক্টোবর থেকে ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে ১৯৬ থেকে ৪০০ অংশগ্রহণকারী দেশের গ্লোবাল বিজনেস পলিসি ইনস্টিটিউটের (জিবিপিআই) অংশীদারিত্বের মাধ্যমে পরিচালিত একটি বৈশ্বিক সমীক্ষার ভিত্তিতে করা হয়েছে।
ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে করোনা বিপর্যয়সহ যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিক্ষয়ের বিষয়টি স্বীকার করা হয়েছে। তারা বলছে, এতকিছুর পরেও ২০২১ সালে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তি হিসেবে ওয়াশিংটনের প্রভাব অক্ষুণ্ণ থাকবে। বই, টেলিভিশন শো, সংগীত ও চলচ্চিত্রের মতো উপাদানগুলোর কল্যাণে সাংস্কৃতিকভাবেও বিশ্বজুড়ে তাদের জোরালো প্রভাব রয়েছে।
করোনায় অর্থনৈতিক ক্ষতির মধ্যেও যুক্তরাষ্ট্র কিভাবে তালিকার প্রথম স্থান ধরে রেখেছে তারও একটি ব্যাখ্যা দিয়েছে সিইওওয়ার্ল্ড। ম্যাগাজিনটি বলছে, করোনায় দেশটি অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তারা এখনও শক্তিশালী। তাছাড়া সামরিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র এখনও সবচেয়ে অগ্রসর। মূলত এসব বিষয়ই দেশটিকে শীর্ষস্থান ধরে রাখতে সহায়তা করেছে।
এই জরিপের ভিত্তিতে প্রকাশিত তালিকার একেবারে শেষদিকে রয়েছে স্লোভেনিয়া, এস্তোনিয়া, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া ও স্লোভাকিয়ার নাম।