বিশ্বব্যাপী প্রতিনিয়ত মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। ইতোমধ্যে ১ লাখ ৯৫ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ২৮ লাখ। এ ছাড়া, সুস্থও হয়েছেন প্রায় আট লাখ মানুষ।
আজ শনিবার জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির করোনাভাইরাস রিসোর্স সেন্টার এ তথ্য জানিয়েছে।
জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৭ লাখ ৯০ হাজার ৯৮৬ জন এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৯৫ হাজার ৯২০ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৮১ হাজার ৩৮২ জন।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৮ লাখ ৯০ হাজার ৫২৪ জন এবং মারা গেছেন ৫১ হাজার ১৭ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন ৯৬ হাজার ৬৭৭ জন।
যুক্তরাষ্ট্রের পর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত রয়েছে ইউরোপের দেশ স্পেনে। সেখানে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ১৯ হাজার ৭৬৪ জন এবং মারা গেছেন ২২ হাজার ৫২৪ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন ৯২ হাজার ৩৫৫ জন।
যুক্তরাষ্ট্রে পর এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছেন ইউরোপের আরেক দেশ ইতালিতে। দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ২৫ হাজার ৯৬৯ জন মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৯২ হাজার ৯৯৪ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন ৬০ হাজার ৪৯৮ জন।
এ ছাড়া, ফ্রান্সে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৫৯ হাজার ৪৯৫ জন, মারা গেছেন ২২ হাজার ২৭৮ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৪৪ হাজার ১৯৭ জন। জার্মানিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৫৪ হাজার ৫৪৫ জন, মারা গেছেন ৫ হাজার ৭২৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৬ হাজার ৮০০ জন। যুক্তরাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৪৪ হাজার ৬৩৫ জন, মারা গেছেন ১৯ হাজার ৫৬৬ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৭২১ জন।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরানে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৮ হাজার ১৯৪ জন, মারা গেছেন ৫ হাজার ৫৭৪ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৬৬ হাজার ৫৯৯ জন। তুরস্কে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৪ হাজার ৯১২ জন, মারা গেছেন ২ হাজার ৬০০ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২১ হাজার ৭৩৭ জন।
ভাইরাসটির সংক্রমণস্থল চীনে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৩ হাজার ৮৮৫ জন, মারা গেছেন ৪ হাজার ৬৩৬ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৭৮ হাজার ২৪ জন।
উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। প্রতিষ্ঠানটির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৪ হাজার ৬৮৯ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। মারা গেছেন ১৩১ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন ১১২ জন।