বিশ্বব্যাপী প্রতিনিয়ত মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। ইতোমধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৩০ লাখ মানুষ। মারা গেছেন ২ লাখ ৬ হাজারেরও বেশি। এ ছাড়া, সুস্থও হয়েছেন প্রায় নয় লাখ মানুষ।
আজ সোমবার জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির করোনাভাইরাস রিসোর্স সেন্টার এ তথ্য জানিয়েছে।
জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৯ লাখ ৭১ হাজার ৬৬৯ জন এবং মারা গেছেন ২ লাখ ৬ হাজার ৫৪৯ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ৬৫ হাজার ৮৩৬ জন।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৯ লাখ ৬৫ হাজার ৯৪২ জন এবং মারা গেছেন ৫৪ হাজার ৮৮৩ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৬ হাজার ৯৮৮ জন।
যুক্তরাষ্ট্রের পর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত রয়েছে ইউরোপের দেশ স্পেনে। সেখানে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ২৬ হাজার ৬২৯ জন এবং মারা গেছেন ২৩ হাজার ১৯০ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ১৭ হাজার ৭২৭ জন।
যুক্তরাষ্ট্রে পর এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছেন ইউরোপের আরেক দেশ ইতালিতে। দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ২৬ হাজার ৬৪৪ জন মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৯৭ হাজার ৬৭৫ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন ৬৪ হাজার ৯২৮ জন।
এ ছাড়া, ফ্রান্সে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৬২ হাজার ২২০ জন, মারা গেছেন ২২ হাজার ৮৯০ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৪৫ হাজার ৬৮১ জন। জার্মানিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭৭০ জন, মারা গেছেন ৫ হাজার ৯৭৬ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ১২ হাজার মানুষ। যুক্তরাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৫৪ হাজার ৩৭ জন, মারা গেছেন ২০ হাজার ৭৯৫ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৭৭৮ জন।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরানে আক্রান্ত হয়েছেন ৯০ হাজার ৪৮১ জন, মারা গেছেন ৫ হাজার ৭১০ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৬৯ হাজার ৬৫৭ জন। তুরস্কে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ১০ হাজার ১৩০ জন, মারা গেছেন ২ হাজার ৮০৫ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২৯ হাজার ১৪০ জন।
ভাইরাসটির সংক্রমণস্থল চীনে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৩ হাজার ৯১২ জন, মারা গেছেন ৪ হাজার ৬৩৭ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৭৮ হাজার ২৭৭ জন।
উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। প্রতিষ্ঠানটির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৫ হাজার ৪১৬ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। মারা গেছেন ১৪৫ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন ১২২ জন।