স্পোর্টস ডেস্ক:
লিওনেল মেসিদের দেশে হতে পারে অনূর্ধ্ব-২০ ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবল। ইন্দোনেশিয়া থেকে শেষ মুহূর্তে বিশ্বকাপ সরিয়ে নেয়ার পর, এর আয়োজক হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে আর্জেন্টিনা। ২০ মে শুরু হওয়ার কথা অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ ফুটবলের। দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্ধারিত সূচিতে বিশ্বকাপ করতে চায় ফিফা। আর্জেন্টিনার সঙ্গে পেরু এবং কাতারও আছে আয়োজক হওয়ার দৌড়ে। তবে, সবাইকে ছাপিয়ে মেসির দেশকেই এগিয়ে রেখেছেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফ্যান্তিনো। দু’একদিনের মধ্যেই ঘোষণা হবে চূড়ান্ত আয়োজকের নাম।
অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপের প্রস্তুতিটা চলছিল ঠিকঠাক। সব প্রস্ততি চূড়ান্ত করে এনেছিল ইন্দোনেশিয়া। কিন্তু হঠাত করেই বিশ্বকাপের আয়োজনের অধিকার কেড়ে নেয় ফিফা। ফুটবলের অভিভাবক সংস্থটির এক নীতি, ফুটবল মাঠে থাকবে না কোনো রাজনীতি। হানাহানি, ঝগড়া বিবাদ বাধা হবে না ফুটবলে। সেখানে শুধুই থাকবে শান্তির বার্তা।
কিন্তু এই এক শর্ত পূরণ করতে না পেরেই কপাল পুড়েছে ইন্দোনেশিয়ার। সমস্যার মূলে ইসরাইল। মুসলিম প্রধান দেশটির অন্যতম বড় দ্বীপ বালি বিশ্বকাপে ইসরাইলের ম্যাচ আয়োজনে অস্বীকৃতি জানায়। বালির গভর্ণর সাফ জানিয়ে দেন সেখানে ইসরাইলের প্রবেশ কঠোর হাতে দমন করবেন তারা। এরপরই ক্ষুব্ধ হয়ে বিশ্বকাপ আয়োজনের মর্যাদা কেড়ে নেয় ফিফা।
২০ মে থেকে ১১ জুন পর্যন্ত সূচি নির্ধারিত আছে অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপের। বাকি মাত্র আট সপ্তাহ। এত দ্রুত বিকল্প আয়োজক খুঁজে বেরা করা কঠিন ফিফার জন্য। কী করবেন চিন্তায় যখন হারাম রাতের ঘুম, তখনি ইনফ্যান্তিনোর কাছে হাজির আর্জেন্টিনা। প্যারাগুয়েতে দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল কনফেডারেশন-কনমেবলের কংগ্রেস শেষে ফিফাকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়েছেন কনমেবল প্রেসিডেন্ট আলেহান্দ্রো ডমিনগুয়েজ। বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে আর্জেন্টিনা। এছাড়া কাতার ও পেরুও আছে এ দৌড়ে।
তবে, ইনফ্যান্তিনো এগিয়ে রাখলেন আর্জেন্টিনাকেই। তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের মতো দ্রুততম সময়ের মধ্যে একটা সমাধান বের করার চেষ্টা করছি। আমাদের এমন একটা জায়গা খুঁজে বের করতে হবে, যেখানে সবকিছু প্রস্তুত আছে। যেখানে সবাই রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে ভালোবাসে শুধুই ফুটবলকে। এ মুহূর্তে আর্জেন্টিনা আমাদের কাছে সবদিক থেকে প্রস্তুত মনে হয়েছে। তারপরেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগে আমরা আরও যাচাই বাছাই করব।
আগামী কয়েকদিনের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ফিফা।