সাতনদী ডেস্ক: বিধি বিধান না মেনেই মিলছে সংবাদপত্রের ডিক্লিয়ারেশন। সাথে আছে নিবন্ধনহীন অনলাইন নিউজ পোর্টালে দৌরাত্ব। ফলে সাধারণ জনগণ এখন সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের নাম শুনতেই বিব্রতবোধ করছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল দশটায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে অংশগ্রহনকারী সিনিয়র সাংবাদিককের মধ্যে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক আবু আহমেদ এমন অভিযোগ করেন। বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল আয়োজিত ‘সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতার মান সংরক্ষণে সাংবাদিকতার নীতি ও নৈতিকতা এবং সাংবাদিকতার আচরণ বিধি পতিপালন’ সম্পর্কিত সেমিনার ও মতবিনিময় সভায় সভাপত্বি করেন জেলা প্রশাসক হুমায়ুন কবির। এই সেমিনারে ৫০ জন সাংবাদিককে দাওয়াত দেওয়া হলেও হাজির হন ৭০ জন। সেমিনারে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক কালের চিত্র পত্রিকার সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আবু আহম্মেদ আরো বলেন, সাংবাদিকতার নীতি নৈতিকতার মা অনেক আগেই মারা গেছে। যাকে তাকে যাচাই বাছাই ছাড়াই সংবাদপত্রের ডিক্লিয়ারেশন দেওয়া হচ্ছে। সাংবাদিকতা না করেই ১৮ বছর সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতার প্রত্যায়নপত্র সংগ্রহ করছেন অনবিজ্ঞরা। আবার আমরাই এসব মিথ্যা প্রত্যায়নপত্র দিচ্ছি। আর এসব কাগজপত্র যথাযথ ভাবে যাচাই-বাছাই ছাড়াই সংশ্লিষ্ট প্রশাসন প্রতিবেদন দিচ্ছেন। এসব প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করেই দেওয়া হচ্ছে সংবাদপত্রের ডিক্লিয়ারেশন। তিনি ক্ষোভ করে আরো বলেন, প্রয়োজনের চেয়ে অনেক সংখ্যক পত্রিকার জন্মও সাংবাদিকতার মান ধ্বংসের অন্যতম কারণ। দৈনিক সাতনদী পত্রিকার সম্পাদক হাবিবুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, অনবিজ্ঞদের বিদ্যমান আইন ফলো না করে সংবাদপত্রের ডিক্লিয়ারেশন দেওয়া হচ্ছে। এতে করে সাংবাদিকতার মানদন্ড ঠিক থাকছে না। তিনি এটি বন্ধের জন্য প্রধান অতিথি বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সময় টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি মমতাজ আহমেদ বাপীও একই সুরে কথা বলেন। যাকে তাকে সংবাদপত্রের ডিক্লিয়ারেশন প্রদান বন্ধের আহবান জানান তিনি। ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি আবুল কাশম বলেন, মাঠ পর্যায়ে সাংবাদিকতা করতে গিয়ে আমরা বিড়ম্বনায় পড়ি। এর কারণ নিবন্ধনহীন অনলাইন নিউজ পোর্টাল। একই কথা বলেন ভোরের কাগজের জেলা প্রতিনিধি মশিউর রহমান ফিরোজ। এসময় জেলার প্রিন্ট্র ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
বিধি বিধান না মেনেই মিলছে সংবাদপত্রের ডিক্লিয়ারেশন : অধ্যাপক আবু আহমেদ
পূর্ববর্তী পোস্ট