নিজস্ব প্রতিবেদক:
জেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক তারিকুল হাসান বলেন, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ফসল, নেতাকর্মীরা যে আশা নিয়ে যুব করেছিল। স্বাধীনতার অর্জনের পরও বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। কিভাবে ফ্যাসিস্টের উত্তসরীরা কিভাবে এই সাহস পাচ্ছে। আমি প্রশাসনকে আহবান জানাবো আর জেনো কোন মানুষকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো না হয়। কোন মানুষ যেন মিথ্যা মামলায় হয়রানি না হয়। যেকোনো অভিযোগ ভাল ভাবে খোজ নিয়ে তারপর এজাহার করবেন। না হলে অনেক মানুষ মিথ্যা মামলায় আসামি হয়ে যাবে। আমরা অন্তবর্তী সরকারকে সর্বচ্চো সহযোগীতা করে যাচ্ছি। আমরা সেদিন সদর থানা রক্ষায় কাজ করেছি।
সেদিন আপনাদের পাশে ছিল। আগামীতেও থাকবো। আপনাদের দৃষ্টি রাখতে হবে নিরিহ মানুষ মিথ্যা মামলায় আসামি না করা হয়। যাদেরকে এই মিথ্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে। তাদেরকে দ্রুত অব্যহতি করতে হবে। দ্রুত তাদের অব্যহতি না দেওয়া হলে বৃহত্তর কর্মসূচি দেওয়া হবে। দেবহাটা ও কালিগঞ্জের কৃতি সন্তানদের জড়িয়ে এ ভাবে মিথ্যা মামলা হয় এটি নিয়ে আমাদের কেন্দ্রীয় নেতা ডা.শহিদুল ইসলাম ব্যথিত হয়েছেন। আজ আমাদের হৃদয়ে রক্ত ক্ষরণ হচ্ছে। আমরা আওয়ামী লীগের সময় নির্যাতনের শিকার হয়েছি। এখনো আর কত নির্যাতন সয্য করবো।
মানববন্ধনে অন্যান্যরা বলেন, ভূমিহীনদের মদদ দেওয়া ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে এদের আইনের আওতায় আনতে হবে। ভূমিহীন খেলা বন্ধ করতে হবে। আমাদের নেতাদের নামে মামলা হবে আর আমরা বসে বসে দেখবো এটা কিন্তু হবে না। আমরা শান্তি চাই, সেজন্য চুপ আছি কিন্তু তাই বলে আমরা দূর্বল নয়। আমাদের নেতাদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার চাই।
বক্তারা আরো বলেন, স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দোসর একাধিক মামলার আসামি বিতর্কিত রঘু নাথ’র কুপরামর্শে সম্মানিত ব্যক্তিদের জড়িয়ে একটি মিথ্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে। নামধারী ভূমিহীনদের মদদ দিয়ে খলিশাখালীতে ব্যক্তি মালিকানা জমি দখল ও মাছ লুটের ঘটনায় সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তোলা হয়েছে। এসব সন্ত্রাসীদের দিয়ে বার বার মৎস্যঘের দখল ও লুটের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন মালিক এবং লিজ গ্রহণকারীরা।
যার প্রেক্ষিতে বিশেষ সুবিধা হাসিল করার লক্ষে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে সমাজের বিশেষ ব্যক্তিদের হয়রানি মূলক মামলায় জড়ানো হয়েছে। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরা বিগত দিনের ন্যায় বর্তমান দেশকে অশান্ত করার পায়তারা করছে। বিগত দিন যারা বিএনপি নেতাকর্মীদের মামলা দিয়ে ঘর ছাড়া করেছিল। বিগত ৫ আগস্ট সেই শক্তি পরাজিত হলেও তাদের দোষররা এখনো সক্রিয়। তাই এদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের বিচারের দাবি করেন বক্তারা। একই সাথে মামলাটি তদন্তপূর্বক নিরপরাধ মানুষদের অব্যাহতি দিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বক্তারা।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) বিকালে সাতক্ষীরার পারুলিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দেবহাটা ও কালিগঞ্জ উপজেলা বিএনপি আয়োজনে চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যুদের গ্রেফতার এবং বিএনপির নেতাদের নামে মিথ্যা বানোয়াট মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে প্রতিবাদ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক সহ-সমন্বক শেখ তারিকুল হাসান। অন্যান্যদের মধ্যে জেলা কৃষক দলের সভাপতি আহসানুল কাদির স্বপন, জেলা যুবদলের সাবেক প্রধান সমস্বয়ক আইনুল ইসলাম নান্টা, সাবেক যুবদলের সভাপতি আবুল হাসান হাদী, পৌর বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন রাজু, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শরিফুজ্জামান সজীব, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল ইসলাম চন্দন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবু রায়হান, দেবহাটা উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক গোলাম মোস্তফা, পারুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সানা, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক কামরুজ্জামান কামরুল, যুগ্ম-আহবায়ক রাজিব আহমেদ, উপজেলা শ্রমিক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান মোখলেস, উপজেলা ছাত্র দলের আহবায়ক ইমরান ফরহাদ, ভূমিহীন নেতা সিরাজুল ইসলাম, জমির মালিক আনছার আলী প্রমুখ।
উল্লেখ্য যে, দেবহাটা উপজেলার খলিশাখালীতে সেনা বাহিনীর অভিযান কালে গনপিটুনিতে নিহত কামরুল ইসলাম গাজীর স্ত্রী মর্জিনা বেগমকে দিয়ে গত রবিবার (১০ নভেম্বর) দেবহাটা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। সেখানে দেবহাটা উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক শেখ সিরাজুল ইসলাম, পারুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক বাবু, নলতা ইউপি চেয়ারম্যান ও কালিগঞ্জ উপজেলা বিএনপি অন্যতম নেতা আজিজুল ইসলাম সহ ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১০০/১৫০ জনকে অজ্ঞতানামা আসামি করা হয়েছে।