কলারোয়া ব্যুরো: রবিবার সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতালকে ঘিরে নাশকতা মোকাবেলায় কলারোয়ায় সতর্ক অবস্থায় ছিলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কলারোয়ার গুরত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে পুলিশের বাড়তি উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। শনিবার সন্ধ্যা থেকেই নাশকতা মোকাবেলায় কলারোয়ায় বিভিন্ন গুরত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তবে রবিবার রাত পর্যন্ত কলারোয়ার কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। থানা পুলিশ সূত্র জানায়, হরতালকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ কিংবা যেকোনো ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ঠেকাতে কলারোয়া থানার বিভিন্ন স্থানে সতর্ক অবস্থানে ছিলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহা. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমি কলারোয়া থানায় যোগদানের পূর্বে বিগত ২০১৩-১৪ সালে ভয়াবহ নাশকতার কথা শুনেছি এবং জেনেছি এজন্য কিভাবে দুষ্কৃতিকারীদের দমন করতে হবে এমন অভিজ্ঞতা আমার রয়েছে। এজন্য থানার গুরত্বপূর্ণ স্থান এবং স্থাপনার নিরাপত্তার স্বার্থে অতিরিক্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গুরত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে নেওয়া হয় বিশেষ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা। তিনি আরও বলেন, জনগণের নিরাপত্তা ও জানমালের জন্য হুমকি এমন যেকোন কর্মসূচি কলারোয়াতে হতে দেওয়া হবে না। হরতালে যারা নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করবে তাদের ছাড় দেয়া হবে না। হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ কিংবা ভাঙচুর, জ্বালাও-পোড়াও করলে তা শক্ত হাতে দমন করা হবে। অন্যদিকে বিএনপি-জামায়াতের কর্মসূচিকে ঘিরে কলারোয়াসহ জেলায় যেকোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে সতর্ক অবস্থানে থাকার কথা জানিয়েছে এলিট ফোর্স র্যাব। এদিকে, দিনব্যাপি বিএনপি-জামাতের ডাকা হরতালে কলারোয়ার রাজপথ দখলে ছিলো আওয়ামী লীগের। উপজেলা আওয়ামী লীগ পৃথকভাবে কলারোয়ায় সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য বিরোধী মিছিল-সমাবেশে মুখরিত করে তোলে কলারোয়ার রাজপথ। তবে হরতালের পক্ষে বিএনপি-জামায়তের কোন নেতা-কর্মীকে মাঠে নামতে দেখা যায়নি।