
জাতীয় ডেস্ক: আগামীকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের আশপাশের এলাকায় বিপুল পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। একইসঙ্গে প্রস্তুত রাখা হয়েছে দুটি জলকামান ও একটি রায়ট কার। যদিও আগামীকাল ঢাকায় মহাসমাবেশের স্থানের এখনো চূড়ান্ত অনুমতি পায়নি বিএনপি।
তবে কালকের মহাসমাবেশ ঘিরে কদিন ধরেই বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের পদচারণায় মুখরিত ছিল নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও আশপাশের এলাকা। অবশ্য আজ বিকেলের পর থেকে প্রায় নেতাকর্মী শূন্য হয়ে পড়েছে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়। দলের নেতাকর্মীরা দ্রুত কেন্দ্রীয় কার্যালয় ছেড়ে চলে যান। শুধু কার্যালয়ের ভেতরেই নয়, মহাসমাবেশে যোগ দিতে আসা নেতাকর্মীদেরও নয়াপল্টন ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দলের শীর্ষ পর্যায় থেকে। পল্টন থানার ওসি সালাহউদ্দিন বলেন, যেহেতু বিএনপিকে নয়াপল্টনে মহাসমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি, তাই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে, যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নেতাকর্মীদের আটক করতে পারে- এমন আশঙ্কা থেকেই কার্যালয় ফাঁকা করার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপির হাইকমান্ড। প্রত্যেকটি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার এড়াতে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকতে বলা হয়েছে।
বিএনপির আরেকটি সূত্র জানায়, আজ অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে মহাসমাবেশের স্থান নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি দলটি। বৈঠকে সিংহভাগ স্থায়ী কমিটির সদস্য গোলাপবাগে সমাবেশ না করার বিষয়ে মতামত প্রদান করেন। বৈঠকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন। বৈঠকের পর থেকেই সিনিয়র নেতারা দলীয় কার্যালয় ছেড়ে যান এবং পর্যায়ক্রমে অন্য নেতাকর্মীরাও নয়াপল্টন এলাকা ত্যাগ করতে থাকেন। ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তারিকুল ইসলাম তারিক কালবেলাকে জানান, দলীয় কার্যালয়ে কোনো নেতাকর্মী নেই, সবকিছু বন্ধ। বাইরে থেকেও কাউকে একান্ত প্রয়োজন ছাড়া ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নেতাকর্মীদের এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।