কিশোর কুমার: সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কে মাটিবাহি ডাম্পার ট্রাক ও যাত্রীবাহি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন ভারতীয় নাগরিক সহ ১০জন আহত হয়েছে। আহতরা বর্তমানে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে। শুক্রবার দুপুরে মহাসড়কের ত্রিশমাইল এলাকার লষ্কর ফিলিংস পেট্রোল পাম্পের পার্শবর্তী এলাকায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে। আহতরা হলেন, তালা উপজেলার কাপাসডাঙা গ্রামের সুব্রত মন্ডলের স্ত্রী কৃষ্ণা রানী মন্ডল (২৯), সদর উপজেলার কুশখালি গ্রামের আবুল হাসানের মেয়ে কুশখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী হাসনা হেনা (১১), বাবুলিয়া গ্রামের নিতাই রায়ের স্ত্রী হেমলতা রায় (৫০), দেবনগর গ্রামের সোহাগ হোসেন (৫৬), তার ভাই শাকিল আহম্মেদ (৫৪), আশাশুনি উপজেলার মাগুরখালি গ্রামের সুনীল চক্রবর্তীর স্ত্রী মিতা রানী চক্রবর্তী (৪৭), ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবড়া থানার জয়পুর গ্রামের সুমিত হালদারের স্ত্রী স্বরস্বতী হালদার (৭০), তার জামাতা একই গ্রামের উপন্দ্রেনাথ মালাকারের ছেলে নিখিল মালাকারসহ (৫৬)। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত নিখিল চন্দ্র মালাকার জানান, কয়েকদিন আগে তিনি তার শ্বাশুড়িকে নিয়ে বাংলাদেশের গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়াসহ বিভিন্ন স্থানে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। শুক্রবার সকালে তারা দেশে ফেরার জন্য দুপুর পৌনে ১টার দিকে খুলনা জিরো পয়েন্ট থেকে বাসে ওঠেন। বাসটি দুপুর দুইটার দিকে কাপাষডাঙা লস্কর ফিলিং স্টেশনের কাছে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মাটি বহনকারি ডাম্পারের সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে বাসটি রাস্তার পাশের খাদে পড়ে তিনিসহ কমপক্ষে ৯/১০ জন যাত্রী আহত হন। এতে ড্যাম্পারের চালক ও এক পথচারী গুরুতর আহত হয়। পরে পুলিশ ওস্থানীয়রা উদ্ধার সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠায়। সাতক্ষীরা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার শিমুল রানা জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম দুর্ঘটনায় পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এর মধ্যে বাসের মধ্যে আটকে পড়া দুই যাত্রীকে ক্রেন এনে উদ্ধার করা হয়। পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ জানান, আহতরা বর্তমানে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত বাস ও ট্রাক দুটি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।