নিজস্ব প্রতিবেদক: রণাঙ্গনে ১৯৭১ সালে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার ৫নং কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গা যুদ্ধের স্মৃতি চারণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার ১৮ সেপ্টেম্বর বিকালে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের আয়োজনে ঝাউডাঙ্গা বাজারের জগন্নাথ দেবের মন্দিরের সামনে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গফফারের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের চেয়ারম্যান, ৮নং সাব-সেক্টর কমান্ডার মেজর মাহবুব উদ্দিন আহম্মদ (বীর বিক্রম), উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মুজিবুর রহমান, জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজীব খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের অধ্যাপক দুলাল চন্দ্র গাইন, সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার ফাতেমা-তুজ-জোহরা, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেলোয়ার হুসেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সদস্য সচিব লায়লা পারভীন সেঁজুতি, পাপড়ি এগ্রো লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী মাসুদুর রহমান, ঝাউডাঙ্গা জোনাল অফিসে ডিজিএম রাকিবুল ইসলাম, ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি রমজান আলী বিশ্বাসসহ আরো গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বীর বিক্রম মেজর মাহমুদ উদ্দিন আহম্মদ বলেন, 'মহান মুক্তিযুদ্ধে এ অঞ্চলের মধ্যে অন্যতম ভয়াবহ যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল বালিয়াডাঙ্গায়। যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে আমার ওপর পাক-হানাদার বাহিনী বহুবার আক্রমণ চালিয়েছে এই সাতক্ষীরার মানুষ আমার জীবন বাঁচিয়েছে, সাতক্ষীরার মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ। তাছাড়াও এই ঝাউডাঙ্গা থেকেই আমার প্রথম মুক্তিযোদ্ধা শুরু। বালিয়াডাঙ্গা যু্দ্েধ শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সরণের স্মৃতিসৌধ তৈরী করা জরুরী। আর সেই রণাঙ্গনের যারা শহীদ হয়েছিল তাদের স্মৃতি চারণে এই অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে তরুণ সমাজে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দিতে হবে'। অন্যন্যা আরো বক্তারা বলেন, 'যাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা, পেয়েছি লাল-সবুজের পতাকা। তবে স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে এসেও মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলোা অবহেলিত লাঞ্ছিত'।
সমগ্র অনুষ্ঠানটি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল রশিদ, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান দেলোয়ার হোসেন ও জেলা যুবলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সোহরাব হোসেন সাজু'র সঞ্চালনায় ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মোমেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডঃ মোস্তফা নুরুল আলম ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে অনুষ্ঠানটি পরিচালিত হয়। শুরুতেই কোরআন তেলওয়াতের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। পরে অতিথিদের ফুলের শুভেচ্ছা ও মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি চারণে অতিথি ও মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে সম্মাননা স্মারক ক্রেস্ট প্রদান করেন।