শার্শা (যশোর) সংবাদদাতা:
যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া পিঁপড়াগাছী গ্রামের কৃষক নুর ইসলাম বারী ১১ জাতের বারোমাসী আম চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। তিনি ৫০ শতাংশ জমিতে বারোমাসী এই আমের চাষ করেছেন।
জানা গেছে, গত চার বছর আগে তিনি এই বারোমাসী আম বাগানের চাষ শুরু করেন। আমের চারা রোপনের এক বছর পর থেকে বাগানের প্রতিটি গাছে আম ধরা শুরু হয়। বর্তমান প্রতিটি গাছের ডালে থোকায় থোকায় প্রচুর আম ঝুলছে। আম গুলো যেমন দেখতে সুন্দর, তেমন খেতেও অনেক সুস্বাদু।
মোঃ নুর ইসলামের বাগানে অসময়ে আম হওয়ায় প্রতিদিন দেখার জন্য বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শনার্থীরা ভিড় জমাচ্ছেন তার আম বাগানে। বর্তমানে কৃষক নুর ইসলাম প্রতিদিন তার বাগান থেকে পাঁকা আম পেড়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে রপ্তানি করছেন। এছাড়াও ক্রেতারা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অর্ডার দিয়ে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে খাওয়া ও বিক্রির জন্য নিয়ে যাচ্ছেন।
আম চাষী মোঃ নুর ইসলাম জানান, আমার বাগানের সব আম পরিপক্ক হয়ে গেছে, রোজার মধ্যে বাগানের আম বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি আশা করছেন। বর্তমান প্রতি কেজি আম ৪ (চার) শত টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন।
শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ মন্ডল জানান, এই উপজেলায় ৬শ' ৯০ হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে আমের চাষ হচ্ছে। পাশাপাশি মোঃ নুর ইসলাম নামে একজন আম চাষী বারী ১১ জাতের বারমাসী আমের চাষ করেছেন। আম গুলো দেখতে অনেক ভালো খেতেও সুস্বাদু। এছাড়াও তিনি যাতে আম চাষে লাভবান হন, এজন্য উপজেলা কৃষি অফিস থেকে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।