প্রিন্ট এর তারিখঃ মে ১৭, ২০২৫, ১:১৭ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ মে ২৯, ২০২০, ১১:২৮ অপরাহ্ণ
বাচ্চুর উপর হামলা করে থানায় মিথ্যা এজহার দিল মেম্বর সুমন
বাড়িতে হামলার ঘটনা সাজিয়ে নিরীহ গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর থানায় এজহার দিয়েছেন ঝাউডাঙ্গা ইউপির মেম্বর ইকবাল হোসেন সুমন। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। চোরাই একটি গাছ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বৎসার ঘটনা ঘটলেও দু’পক্ষই পাল্টা পাল্টি এজহার জমা দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সদর থানার বলাডাঙ্গা গ্রামে। সরেজমিনে তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ইকবাল হোসেন সুমন মেম্বর একটি সিরিশ গাছের গুড়ি সতের’শ টাকায় বিক্রি করে কাঠ ব্যবসায়ী ছয়ঘরিয়া গ্রামের বাচ্চুর কাছে। গাছটি বনবিভাগের ঝড়ে পড়া গাছ। ইকবাল হোসেন সুমন মেম্বর হয়েও সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রি করে আইনগত অপরাধ করেছেন। তবে মেম্বর দাবি করেছেন তিনি গাছটি বনবিভাগের কাছ থেকে চেয়ে নিয়েছেন। গাছটি বিক্রি করে ২২ মে। ব্যবসায়ী বাচ্চু গাছটি মাধবকাটি বাজারের স—মিল থেকেই গ্রহণ করে। পরবর্তীতে গাছটি সেখান থেকে চুরি হয়ে যায়। গাছটি খোজাখুজির পর তুজুলপুরে আলঙ্গীরের কাঠগোলায় পাওয়া যায়। গাছটি বিক্রি করে তা আবার রাতের আধারে চুরি করে আলঙ্গীরের কাঠগোলায় বিক্রি করে সুমন ও তার লোকজন। বিষয়টি জানাজানি হলে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ২৮ মে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় মাধবকাটির হান্নানের মিলের কাঠ ব্যবসায়ী বাচ্চুকে মেম্বর সুমন ও ফারুক তাদের দলবল নিয়ে মারধর করে। পরে মারধোরের খবর ছড়িয়ে পড়লে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। হামলার পর প্রত্যক্ষদর্শীরা ঘটনাস্থল থেকে একটি চাকু উদ্ধার করে। সুমন মেম্বর একজন মাদকসেবী হিসেবেও এলাকায় পরিচিত বলে জানায় এলাকাবাসী।
এদিকে অবস্থা অনুকুলে না দেখে বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে এমন কলা কাহিনী সাজিয়ে বাচ্চুসহ অনেককে আসামী করে সাতক্ষীরা সদর থানায় ২৯ মে এজহার দেয় সুমন মেম্বর। মেম্বর সুমনের ভাই পুলিশ সদস্য ইমন ২৯ মে সদর থানায় এজহার দিয়ে তা রেকর্ড করার জন্য দৌড়ঝাপ শুরু করে।
অপরদিকে কাঠ ব্যবসায়ী বাচ্চু বাদি হয়ে ৪ জনের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি এজহার দাখিল করেছেন। সরেজমিনে এলাকায় গিয়ে জানা যায়, সুমনের বাড়িতে হামলা না হলেও কাঠ ব্যবসায়ী বাচ্চুকে নির্দয়ভাবে মারধোর করেছে সুমন ও তার লোকজন ।
Copyright © 2025 দৈনিক সাতনদী. All rights reserved.