
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা সদরের বল্লী আদর্শ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সরকারি নিয়মনীতি না মেনে স্কুলের শহীদ মিনার তৈরির নামে স্কুলের গাছ বিক্রি করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক মো. মুনছুর আলীর বিরুদ্ধে। স্কুলের ২টি গাছ কেটে বিক্রি করেছেন তিনি। যার বাজার মূল্য প্রায় অর্ধ লাখ টাকা। কোনো ধরনের দরপত্র ও প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই গাছ কেটে শহিদ মিনার তৈরি করা হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলার বল্লী ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী বল্লী আদর্শ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শতাধিক গাছ রোপন করা হয় প্রায় ৩০ বছর আগে। গাছগুলো বেশ বড় আকৃতির হওয়ায় নজরে আসে প্রধান শিক্ষক মো. মুনছুর আলীর। বন বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই গাছগুলো কেটে বিক্রি করছেন। গত তিনদিন যাবত গাছ কাটার সত্যতা পাওয়া গেছে। ওই স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র রুবেল খান জানান, প্রধান শিক্ষক মো. মুনছুর আলী ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের ম্যানেজ করে শহীদ মিনার বানানোর নাম করে প্রায় অর্ধ লাখ টাকার গাছ বিক্রির টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। বিদ্যালয়ের মাটি ভরাট ও ৩য় এবং ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রেও মোটা অংকের অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় আবদুল গফুর, ভ্যান চালক রিপন, কামরুজ্জামান বলেন, পরিবেশ, বনবিভাগ ও প্রশাসনের অনুমতি না নিয়েই গাছগুলো কেটে বিক্রি করা বেআইনি। এ বিষয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মো. মুনছুর আলীর বাড়িতে গেলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। অত্র প্রতিষ্ঠানের আয়া বলেন, ভালো কাজ করলে কিছুটা অনিয়ম করতেই হয়। বনবিভাগ ও প্রশাসনের অনুমতি নিতে গেলে বছরের পর বছর ঘুরতে হতো। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা তুজ জোহরা বলেন, বল্লী আদর্শ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গাছ কাটার বিষয়টি শুনেছি। অফিসিয়াল অনুমতি না নিয়ে গাছ কাটা ঠিক হয়নি। এ বিষয়ে খুব দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।