
নিজস্ব প্রতিনিধি: দেবহাটায় পৈত্রিক জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে জমি দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা মোহাম্মাদ আলীর বিরুদ্ধে। বর্তমানে জমির মালিক অসহায় হয়ে বিভিন্ন দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ভূক্তভোগী জমির মালিক সৈয়দ আবুল ফজল জানান, পৈত্রিক সুত্রে পাওয়া দেবহাটা মৌজার এসএ ৬০৮, হাল দাগ ১৮৫০ এ ৭৫ শতক জমির মধ্যে তার ৩৫শতক জমি প্রাপ্ত হন। সেই মোতাবেক উক্ত জমি ভোগদখল করে আসছেন তিনি। কিন্তু তার পরিবার সাতক্ষীরা শহরে বসবাস করার সুবাদে ১৯৮০ সালে ওই জমি দেখাশোনা ও চাষ করার জন্য কোঁড়া গ্রামের মৃত মান্দার মুন্সির ছেলে আসমাতুল্লাহ গাজী ওরফে ঝটিকে বর্গা চাষি হিসাবে নিযুক্ত করা হয়। সেখান থেকে আসমাতুল্লাহ গাজী ওই জমি আবাদ করে আসছিল। পরবর্তীতে চাষের জমি থেকে আসমাতুল্লাহ গাজীর বাড়ি দুরে হওয়ায় ওই জমিতে পাহারা ঘর নির্মানের দাবি জানালে মালিকরা সেখানে একটি মাটির কাঁচাঘর নির্মান করে দেন। এরপর থেকে সেখানে আসমাতুল্লাহ গাজী ও তার স্ত্রীকে নিয়ে ওই ঘরে থাকা শুরু করেন। পরে সে দীর্ঘদিন মালিকপক্ষের জমি দেখা শোনার সুবাদে সুসম্পর্কে ওই ভিটায় বসবাসের জন্য জমির দাবি জানায়। এতে জমির মালিক পক্ষের ৬ ভাইবোনের মধ্যে ২জন শরীক চুক্তিনামার মাধ্যমে জমিতে বসবাসের অনুমতি দেয়। কিন্তু পরবর্তীতে পারিবারিক বন্ঠননামা করা হলে বসবাসের ঘরটিসহ ৩৭ শতক জমি আবুল ফজলের অংশে পড়লে তিনি বর্গাচাষি আসমাতুল্লাহকে ৬০৯ দাগ যার হাল ১৮৪৮দাগে গিয়ে বসতঘর নির্মান করার জন্য বলেন। কিন্তু বর্গাচাষি আসমাতুল্লাহ এর পরিবার ওই জমি থেকে সরে না গিয়ে নানা তালবাহানা করতে থাকে। ঘটনায় ২৯/০২/২০০৪ সালে সৈয়দ আবুল ফজল বাদি হয়ে সদর ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম্য আদালতে মামলা করেন। বিষয়টি নিয়ে ৩ কার্যদিবস শালিশ বৈঠকে অভিযোগের বিষয়ে নিজের দোষ স্বীকার করলেও জমি ছাড়েননি আসমাতুল্লাহ। গ্রাম আদালত পরবর্তীতে জমির মালিককে বিজ্ঞ আদালতে যাওয়ার পরামর্শ প্রদান করেন। একপর্যায়ে আসমাতুল্লাহ গাজীর মৃত্যু হলে তার ছেলে ধুরন্ধর মোহাম্মাদআলী চুক্তি অমান্য করে ৭শতক জমির পরিবর্তে আরো প্রায় ২০ শতক জমি জোরপূর্বক দখল করে পাঁকা স্থাপনা তৈরি করে। জমির মালিক সৈয়দ আবুল ফজল গ্রামের বাড়িতে এসে মোহাম্মাদআলীকে তার জমি ছেড়ে দেওয়ার জন্য বললে এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উল্টো জমির মালিককে হুমকি ও মারপিট করতে উদ্ধত হয়। এতে করে জমির মালিক আদালতের মামলা করেও সুরাহ পাননি। বর্তমানে জমির মালিক বৈধ কাগজপত্র থাকার সত্বেও জমি ফেরত পেতে অসহায় হয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এবিষয়ে মোহাম্মাদআলীকে প্রশ্ন করলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। চুক্তির মাধ্যমে ৭ শতক জমি দান করে দিয়েছে। তবে ওই চুক্তিনামায় সৈয়দ আবুল ফজল ও তার এক বোন স্বাক্ষর না করায় তিনি জমি ফেরত চান। বেশি জমি দখলের কথা জানতে চাইলে তিনি জানান, আমার প্রয়োজন হচ্ছে তাই ব্যবহার করছি। দরকার হলে বাড়তি জমির দাম দিয়ে দেব।