
আজ ২৩ রমজানুল মোবারক। আমাদের প্রতি আল্লাহপাকের অসীম অনুগ্রহ যে, তিনি আমাদের রমজানের মত বরকতময় মাস দান করেছেন। রমজানএমন একটি মাস যে মাসে আল্লাহর করুণা অঝরে বর্ষিত হতে থাকে। আল্লাহর দয়া আর অনুগ্রহ মানুষের ক্ষমা প্রত্যাশার জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠে। বান্দার ক্ষমার জন্য উপলক্ষ খুঁজে ফিরে। এ মাসের ছোট ছোট আমলের প্রতিদানে আলাহর পক্ষ থেকে রহমত, মাগফেরাত ও দোজখ থেকে মুক্তির অঙ্গীকার রয়েছে। হাদীস শরীফের ভাষ্য অনুযায়ী রমজান মাস হলো সকল মাসের সেরা। আর শুক্রবার সপ্তাহের সেরা দিন।
সুতরাং রমজান মাসে যখন কোন জুমা আসে, তখন এমনিতেই তা দ্বিগুণ মর্যাদার অধিকারী হয়ে উঠে। এজন্যে রমজানের প্রতিটি জুমা বছরের অন্য যে কোন জুমার চেয়ে বেশি মর্যাদাপূর্ন। যদি আল্লাহ তায়ালা আমাদের হায়াতকে দীর্ঘায়িত করেন, তাহলে আগামী বছর পুনরায় এই নেয়ামত প্রাপ্ত হবে। এজন্য যখন নেয়ামত কারো হাত থেকে চলে যাচ্ছে, তখন বিশেষভাবে তার কদর করা উচিত। তাই যতবেশি সম্ভব নেক আমলের মাধ্যমে জুমাকে সাফল্যময় করে তোলা ঈমানের দাবী। আর রমজানের শেষ জুমাকে বলা হয় জুমাতুল বিদা।
জুমাতুল বিদার বিশেষ তাৎপর্য এই যে রমজান মাসের শেষ শুক্রবার হযরত দাউদ (আঃ) জেরুজালেম নগরী প্রতিষ্ঠা করেন এবং সেখানে গড়ে তুলেন মসজিদে আল-আকছা বায়তুলাহ ও মসজিদে নববীর পর তৃতীয় পবিত্র পবিত্র স্থান হচ্ছে মসজিদে আল-আকছা। যার অপর নাম বায়তুল মোকাদ্দাস। প্রতিবছর রমজান মাসের শেষ শুক্রবার সারা বিশ্বের মুসলমানরা বায়তুল মোকাদ্দাসে ইহুদীদের অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে ঘৃণা প্রকাশ করেন। তাই রমজান মাসের শেষ শুক্রবারকে ‘আল কুদস দিবস’ বলা হয়। মাহে রমজানে জুমাতুল বিদার পূর্ণময় দিনে পরম আল্লাহপাকের কাছে বিশেষ মুনাজাতের মাধ্যমে রোজাদাররা মসজিদে মসজিদে সমবেতভাবে ইহকালীন এবং পরকালীন মুক্তির জন্য প্রার্থনা করেন। সূত্র:মানবজমিন