
হাবিবুর রহমান: সাতক্ষীরা রেঞ্জের পশ্চিম সুন্দরবনে স্টেশন কর্মকর্তার চাপে দিশেহারা হয়ে পড়েছে জেলে বাওয়ালীরা। এক দিকে একের পর এক প্রকৃতিক দূর্যোগ ও অন্য দিকে মহামারি করোনা ভাইরাস এর মধ্যেও বনবিভাগের চাপ!
এমন ধরনের অভিযোগের সূত্রে জানাগেছে যে, জোয়ারে ভাঙ্গা, ভাটায় গড়া নদীর চরে বসবাসরত জেলেরা প্রতি নিয়ত সুন্দরবনে ডাঙায় বাঘ ও জলে কুমির সেই সাথে আছে প্রাকৃতিক দূর্যোগ। এসব সমস্যা নিয়ে সুন্দরবনে মৎস্য, কাঁকড়া, মধু আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। কিন্তুআরও আছে! সুন্দরবনে প্রবেশের সময় পাশ পার্মিট নেওয়ার জন্য কর ছাড়াও স্টেশন কর্মকর্তাকে উৎকোচ দেয়া লাগে। ফলে বাওয়ালী ও জেলেরা বনে যেতে বাড়তি টাকার জোগানের জন্য চড়া সুদে টাকা নেওয়া লাগে। দিনে দিনে ঋণে জড়িয়ে ঘর সংসার রেখে পড়ে থাকতে হচ্ছে সুন্দরবনে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কিছু জেলে জানিয়েছেন, সাতক্ষীরা রেঞ্জের পশ্চিম সুন্দরবনের কৈখালী ফরেস্ট স্টেশন থেকে পাশপার্মিট নিতে গেলে ২ হাজার টাকা মাথাপিছু দিতে হয়। বরফ এর জন্য ১ হাজার টাকা। এর পরে নদীতে গিয়ে টহল ফাঁড়ীর কর্মকর্তাদের সাথে দেখা হলেই ১হাজার টাকা। আমাদের বনে মাছ ধরতে গেলেই ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা পকেটে নিয়ে যেতে হয় অতিরিক্ত। তবে যাদের কাছে টাকা থাকে না তাদের নাম ঠিকানা দিয়ে তালিকা তৈরি করেন এবং পরে নদীতে গেলে বাকী টাকা সহ তখনকারটা টাকা বুঝিয়ে দিতে হয়। আমরা টাকা না দিলে বিভিন্ন কারন দেখিয়ে ঝমেলা সৃষ্টি করেন এবং নৌকা থেকে জাল তুলে নিয়ে মামলা বা জাল পুড়িয়ে দিয়ে থাকেন।
এই বিষয়ে কৈখালী স্টেশন কর্মকর্তা মোবারক হোসেন বলেন, “ওসব মিথ্যা কথা। এ ধরনের কোন টাকা আদায় হয়না।
বর্তমানে দেশের এই অর্থনৈতিক মন্দা বা আয়ের উৎস হিসাবে খারাপ পরিস্তিততে বনবিভাগের এমন ধরনের কর্মকান্ডে স্থানীয় সচেতন মহল নিন্দা জানিয়েছেন। বিষয়টি দ্রুত তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান।