
আশাশুনি ব্যুরো ঃ আশাশুনি উপজেলার বড়দল আফতাব উদ্দীন কলেজিয়েট স্কুলের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সহকারী অধ্যাপক বাবলুর রহমানকে ছাত্ররা অফিস কক্ষের তালা ভেঙ্গে চেয়ারে বসিয়েছে। রবিবার স্কুলের ছাত্ররা মিছিল সহকারে তাকে অফিস কক্ষে নিয়ে যায়।
নিজ অফিসে ঢোকার পর কমিটির সদস্য, দাতা সদস্য, প্রততিষ্ঠাতার সন্তান, শিক্ষক, অভিভাবক ও ছাত্ররা ভারপ্রাপ্ত (চলতি দায়িত্ব) অধ্যক্ষকে সম্মানের সাথে তার চেয়ারে বসিয়ে দেন। এসময় উপস্থিত সাংবাদিক ও সকলের উদ্দেশ্যে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বাবলুর রহমান বলেন, ২০২৩ সালে কমিটির রেজুলেশন করে আমাকে দায়িত্বে বসান। সেই থেকে যথাযথ ভাবে দায়িত্ব পালন করে এসেছি। হঠাৎ করে মোহাম্মদ আলী ভাই খুলনা আঞ্চলিক অফিস থেকে চিঠি আনলে আমি হাই কোর্টে রিট করি। মহামান্য আদালত রুল ও স্টে প্রদান করেন। যার মেয়াদ শেষ হবে ১৬/৯/২৫ তারিখে। স্টে অর্ডার ভ্যাকেট করতে মোহাম্মদ আলী সুপ্রীম কোর্টের এ্যাপিলিয়েড ডিভিশনে মমলা দায়ের করলে মহামান্য আদালত “নো অর্ডার” রায় প্রদান করে আমার পক্ষে রায় দেন। আমার দায়ের করা ১০৯৬২/২৪ মামলার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বর্তমান ম্যানেজিং কমিটি সর্ব সম্মতিক্রমে মামলাটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আমাকে অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) এর দায়িত্ব পালনের জন্য রেজুলেশন করেছেন। মহামান্য হাইকোর্ট আমার মামলায় রুল Absolute” করে রায় দিয়েছেন। অর্থাৎ আমার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত পালন বৈধ। আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সম্মতিক্রমে বুধবার (২৮ মে) প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করে অফিসে তালাবদ্ধ করে স্থান ত্যাগ করলে মহামান্য হাইকোর্টের স্টে অর্ডার অমান্য করে, কমিটির বিনা অনুমতি ও রেজুলেশন ছাড়াই সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে আমার অফিস কক্ষের তালা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে চেয়ারে বসেন এবং কাগজপত্র ও গুরুত্বপূর্ণ নথি তছরুফ করেন। এঘটনায় শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষানুরাগী সুধীজনের মধ্যে তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি করেছে। এব্যাপারে ইউএনও মহোদয়ের অফিসে বসা হলে মোহাম্মাদ আলী উপস্থিত হননি। কমিটির সদস্যবৃন্দ মোবাইল করলে তিনি ধরেননি। ইউএনও মহোদয় আমার কাগজপত্র দেখে বৈধতা উপলব্ধি করে আমাকে দায়িত্ব পালনের কথা বলেন। আমি মহামান্য হাই কোর্টের রায়, কমিটির রেজুলেশন ও মন্ত্রণালয়ের চিঠি মোতাবেক বৈধতার সাথে দায়িত্ব পালন করছি। এসময় দাতা সদস্য রফিকুল ইসলাম সানা, প্রতিষ্ঠাতার পুত্র শরিফুল ইসলাম উজ্জল, শিক্ষক প্রতিনিধি রওশনারা লিপি, শিক্ষক বলাই কৃষ্ণ মন্ডল, আঃ সেলিম, সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ এনামুল হক, নীহার গোলদার, নিমাই চন্দ্র সানা, মিলন কুমার শীল, দিপংকর সরকার, প্রভাষকবৃন্দ প্রবীর কুমার বৈরাগী, মানিক চন্দ্র মন্ডল, মঈনুল হোসেন, শিবপদ সানা,কান্তিলাল বিশ্বাস, শিবপদ সরকার, দেবদত্ত চক্রবর্তী, দিপংকর শীল, সন্দীপ কুমার মন্ডল, স্কুল শাখার দায়িত্ব প্রাপ্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক বলাই কৃষ্ণ মন্ডল, সিনিয়র শিক্ষক রবিউল ইসলাম, পুলকেশ মন্ডল, বিশ্বজিৎ বাছাড়, গীতা রানী, ভক্তি দাশ, সেলিম সাহেব, মনিষ বাবু, মুকুন্দ বাবু সহ শাজাহান আলী, দীনেশচন্দ্র সরকার, আব্দুল করিম, সুনীল প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন ও আলোচনা রাখেন। বক্তাগণ বলেন, মোহাম্মদ আলী সাহেব ইচ্ছেমত অফিস খোলেন ও বন্ধ করে চলে যান। আজও তিনি ১০ টার দিকে চলে গেছেন। তিনি তালা লাগিয়ে চাবি নিজেই নিয়ে যান। ফলে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষরসহ অফিসিয়াল কাজকর্মে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়ে থাকে। একই রকম মতামত ব্যক্ত করে ৪ র্থ শ্রেণির কর্মচারী আঃ করিম আরও বলেন, আজকে স্কুলের নিয়মিত শিক্ষার্থীরা অফিসের তালা খুলে শিক্ষক কর্মচিরী, কমিটির সদস্য ও অভিভাবকদের নিয়ে অফিসে বসে মতবিনিময় করেন।