নিজস্ব প্রতিবেদক: সংখ্যালঘু নেতাদের সাথে মত বিনিময় সভা ফ্লপ হলেও তা নিয়ে প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে দুটি সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে। সংখ্যালঘু হেভিওয়েট নেতারা মতবিনিময় সভায় নিশ্চুপ থাকলেও দুই একজনের বক্তব্য দিয়ে অপপ্রচার হয়েছে। তাদের মধ্যে কারও কারও বক্তব্য বানিয়ে, আবার কারও কারও বক্তব্য বাড়িয়ে বলা হয়েছে।
গত শুক্রবার জেলা মন্দির সমিতি, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও প‚জা উদযান পরিষদের যৌথ আয়োজনে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী আশরাফুজ্জামান আশুর সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিলো জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলামের কিন্তু তিনি ওই মতবিনিময় সভায় উপস্থিত হননি। উপস্থিত ছিলেননা জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শেখ আজহার হোসেনও। অনুষ্ঠানে সদ্য পদত্যাগী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু এবং লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী আশরাফুজ্জামান আশু ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রশিদ ছাড়া উল্লেখযোগ্য কোন আওয়ামী লীগ নেতার উপস্থিতি দেখা যায়নি। পুরো সভা জুড়ে তারা স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী মীর মোস্তাক আহমেদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেন। অন্যদিকে লাঙ্গল প্রতীকের পকেটস্থ গৌরদত্ত মতবিনিময় সভায় মীর মোস্তাক আহমেদ রবি’র বক্তব্যকে বিকৃত করে বক্তব্য দিয়েছেন।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ সদর উপজেলা শাখার সভাপতি নিত্যানন্দ আমিনের সঞ্চলনায় জেলা মন্দির সমিতির সভাপতি এড সোমনাথ ব্যানার্জীর সভাপতিতে বিকাল তিনটা থেকে শুরু হয়ে সভাটি বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলে। কিন্তু দুপুরে খাওয়ার পর পরই তৃণমূল পর্যায়ের ৯৮ভাগ নেতা-কর্মী সভা বয়কট করে বাড়ি চলে যায়। সভায় শুধুমাত্র ইউনিয়ন পর্যায়ের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আগরদাড়ি ইউনিয়নের তাপস আচার্য ও গোপাল আচার্য, ফিংড়ি থেকে দুইজন এবং ধুলিহর থেকে কানাই। লাঙ্গলের প্রার্থী আশরাফুজ্জামান আশুর মতবিনিময় সভায় দলিত সম্প্রদায়ের অতিশয় গরীব নারী-পুরুষ এবং কিশোর-কিশোরীদের সভাস্থলে নেওয়া হয়, যারা ওই সংগঠনের সাথে যুক্ত নয়। তাদের বেশির ভাগই অপ্রাপ্তবয়স্ক।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা প‚জা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ ঘোষ, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার শীল, সদর উপজেলা প‚জা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শিবপদ গাইন, সদর উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক বাসুদেব সিংহ, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য শুধাংশু শেখর সরকার মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন। এখানে বিশেষ ভাবে উল্লেখ্য যে, ঈগল প্রতীকের প্রার্থী মীর মোস্তাক আহমেদ রবি’র সাথে জেলা মন্দির সমিতি, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও জেলা প‚জা উদযান পরিষদের মতবিনিময় সভায় সংখ্যালঘু নেতারা ৭ই জানুয়ারি নির্বাচনে ঈগল প্রতীকে ভোট প্রদানের জন্য অঙ্গীকার করেন। এঘটনার পর সদ্য বিদায়ী উপজেলা চেয়ারম্যান নন্দিত জননেতা আসাদুজ্জামান বাবু সংখ্যালঘু নেতাদের লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থীর সাথে মতবিনিময় সভায় যুক্ত হওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। অনেকটা নিরুপায় হয়ে দুই-একজন বাদে অন্যদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু ৩০ জানুয়ারি প্রকাশিত দুটি গণমাধ্যম সভার প্রকৃত চিত্র এড়িয়ে মনগড়া বক্তব্য দিয়ে বলে, ‘মায়ের বাড়ি মন্দিরে লাঙ্গল প্রতীকের পক্ষে একাট্টা ধর্মীয় নেতারা’।