নিজস্ব প্রতিবেদক: ফেসবুকে পরিচয়। এরপর মোবাইল ফোনে কথোপকথন। তারপর ভালবাসা। এরপর ভালবেসে বিয়ে। এখন অস্বীকার। এমনই ঘটনা ঘটেছে শহরের পুরাতন শহরের ঘুড্ডিরডাঙ্গী এলাকায়। জানা গেছে, ওই এলাকার বাবু তালুকদারের ছেলে সোহেল রানা (২৪) ঢাকায় বসবাস করে। সোহেলের গ্রামের বাড়ি শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা গ্রামে। সে ঢাকায় থাকে। সেখান থেকেই ফেসবুকের মাধ্যমে সম্পর্ক তৈরী করে যশোরের নীলগঞ্জ তাঁতীপাড়া এলাকার মোঃ রফিক শেখের মেয়ে আসমা খাতুন সুমাইয়া (১৯) সাথে। দীর্ঘদিন ভালবাসার পর তারা চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারী সাতক্ষীরা কোর্টে এসে বিয়ে করে। বিয়ের পর স্ত্রী সুমাইয়াকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। পরে মাঝে মধ্যে তারা সাতক্ষীরায় এসে এক বন্ধুর বাড়িতে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে মেলামেশা করতে থাকে। তবে সোহেল ঢাকায় খেলাধুলা করে বলে সুমাইয়াকে জানায়। সে আরো জানায়, ঢাকার বিভিন্ন ক্লাবে খেলাধুলা করে এবং অচিরেই সে ন্যাশনাল টিমে খেলবে বলে জানায়। এক পর্যায়ে সোহেল পুণরায় ঢাকায় চলে যায়। কিছুদিন যেতে না যেতেই সোহেল সুমাইয়ার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। অনেক খোজাখুঁজির পর সুমাইয়ার সাথে সোহেলের কোন বিয়ে হয়নি এবং সোহেল অন্যত্র বিয়ে করতে যাচ্ছে বলে সাফ জানিয়ে দেয়। এঘটনার পর অসহায় সুমাইয়া বিভন্ন ব্যক্তির দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোন সমাধান পায়নি। সুমাইয়া তার স্বামী সোহেলকে ফিরে পেতে ও স্ত্রীর মর্যাদা পেতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তবে এব্যাপারে স্বামী সোহেল রানার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।