স্পোর্টস ডেস্ক :
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নবম আসরে অনেক আশা দেখিয়ে শেষ পর্যন্ত ফাইনালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কাছে শিরোপা খুঁইয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। রানার্স আপ হয়ে তারা পেয়েছে এক কোটি টাকা প্রাইজমানি। যার পুরোটা ক্রিকেটার ও টিম ম্যানেজমেন্টের মধ্যে ভাগ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটির মালিকপক্ষ।
শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে সিলেট কর্তৃপক্ষ। সিলেট পর্বের খেলা চলাকালীন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ফ্যাঞ্চাইজিটি।
এর আগে বৃহস্পতিবার ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে কুমিল্লার কাছে হেরে প্রথম শিরোপা জয়ের স্বপ্ন ভঙ্গ হয় সিলেটের। তবে আসরের শুরু থেকে সীমিত বাজেটের দল নিয়েও তারাই পেয়েছিল ফেবারিটের তকমা।
দলে থাকা নাজমুল হোসেন শান্ত, তৌহিদ হৃদয় ও জাকির হোসেনের মতো দেশি ক্রিকেটাররা পারফরম্যান্সে ছড়িয়েছেন দ্যুতি। গ্রুপপর্ব শেষে তারা শীর্ষে থাকলেও, ছন্দ হারিয়েছে শেষদিকে। যার কারণে উঁচিয়ে ধরা হয়নি চ্যাম্পিয়ন শিরোপা।
এবারের আসরে রানার্স আপ দলের জন্য নির্ধারিত প্রাইজমানি ছিল এক কোটি টাকা। যা গত আসরের তুলনায় দ্বিগুণ। আর চ্যাম্পিয়ন দল পেয়েছে দুই কোটি টাকা প্রাইজমানি। এছাড়া টুর্নামেন্ট সেরা ক্রিকেটারের হাতে উঠেছে ১০ লাখ টাকা। সেরা রান সংগ্রাহকের জন্য ছিল ৫ লাখ টাকা। যে দুটো পুরস্কারই উঠেছে বিপিএলের ইতিহাসে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে পাঁচশ’র ঘরে পা রাখা নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে।
এছাড়া সেরা উইকেট সংগ্রাহক হিসেবে ৫ লাখ টাকা জিতেছেন তানভীর ইসলাম। এছাড়া টুর্নামেন্টের সেরা ফিল্ডার হিসেবে ৩ লাখ টাকা প্রাইজমানি পেয়েছেন মুশফিকুর রহিম। আর ফাইনালে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হয়ে ৫ লাখ টাকা জিতেছেন জনসন চার্লস।