সাতনদী ডেস্ক: সাতক্ষীরা জজকোটের প্রবীন আইনজীবী ও সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে একজন এ.কে.এম শহীদুল্লাহ। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতের মধ্যে একমাত্র তিনি বেচে আছেন। তার বর্তমান বয়স ৮৬ বছর। তিনি আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটির মৃত আব্দুস সোবহান সরদারের পুত্র। তার ১ পুত্র একএম আসাদুল্লাহ (৫৫) এবং কন্যা সেলিনা সুলতানা। ছেলেটা জন্মগত মানসিক প্রতিবন্দী কিন্তু মেয়েটা নিজ গুনে গুনান্বিত একজন মানুষ। তার কন্যা সেলিনা সুলতানা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স, মাষ্টার্স শেষ করে বর্তমানে সাতক্ষীরার ছফুরননেছা মহিলা কলেজে সহকারী অধ্যাপক হিসাবে কর্মরত। কলেজটির বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। তার জামাতা এম কামরুজ্জামান এটিএন বাংলা ও সমকালের সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি হিসাবে কর্মরত আছেন। ভয়েস অব সাতক্ষীরার সম্পাদক তিনি।
এ.কে.এম শহীদুল্লার নাতী সাফানা ফারদিন দিহান আগামী বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। তিনি তার নাতীতে বিদেশ থেকে ব্যরিষ্টার পাশ করাতে চান। তার নাতনি সাফানা ফারদিন দিঘি সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেনীর ছাত্রী।
গুনি এই ব্যক্তিত্ব ১৯৬৫ সালের ২১ নভেম্বর সাতক্ষীরা জজকোর্টে আইনজীবী হিসাবে যোগদান করেন। জেলা আইনজীবী সমিতিতে সাধারণ সম্পাদকও নির্বাচিত হন তিনি। মানবাধিকার বস্তবায়ন সংস্থা, ফেমা, সনাক, সুইট অসংখ্য সামাজিক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন বিভাগ থেকে এমএ এবং ল পাশ করেন এ.কে.এম শহীদুল্লাহ। বাংলাদেশ টাইমস, বাংলাদেশ বেতার, সাপ্তাহিক হলিডে সহ বিভিন্ন মিডিয়ায় কাজ করেছেন তিনি। নবর্তমানে ভয়েস অব সাতক্ষীরার উপদেষ্টা হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। স্বাধীনতার পর থেকে রূপালী ও সোনালী ব্যাংকের আইন উপদেষ্টা হিসাবে কাজ করছেন।
বরেন্য এই ব্যক্তিত্ব মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর সাথে রাজনীতি করতেন। মাওলানা ভাসানী তার বাসায় একাধিকবার বেড়াতে এসেছিলেন।